গত কয়েকদিনের প্রচেষ্টায় তারা প্রায় অধিকাংশ গ্রামের দেওয়ালে নানান ছবি অঙ্কন করে ফেলেছেন। জঙ্গলের পরিবেশ থেকে আদিবাসী সমাজের পরিবেশ ও তাদের সংস্কৃতি দেওয়ালে তুলে ধরা হয়েছে ছবির আকারে। কোথাও পৌরাণিক কাহিনী তো কোথাও দেবদেবীর কথা, আবার কোথাও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে জঙ্গল থেকে গাছ কেটে নিলে কি ক্ষতি হতে পারে। আর তাদের এই অবিনব উদ্যোগের জন্যই সেজে উঠেছে গোটা গ্রাম। নিত্যদিন এই গ্রাম দেখতে আশেপাশের গ্রামের মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন লবনধার গ্রামে। গ্রামের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, তারা জঙ্গলকে রক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছেন কয়েকজন যুবক মিলে। জঙ্গলের উপরই নির্ভর করে অনেক মানুষের জীবন-জীবিকা। তাই জঙ্গল অনেক মানুষের অন্ন জোগায়। তারা উদ্যোগ নেন এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়ির দেওয়ালে তারা তাদের প্রচার ছবির আকারে তুলে ধরবেন। একটি দুটি দেওয়াল অংকন করার পরই গ্রামের মানুষের কাছ থেকে বেশ ভালই সাড়া মিলতে শুরু করে। এরপর এগিয়ে আসেন গোটা গ্রামের মানুষ। তারা সকলেই তাদের বাড়ির দেওয়াল অঙ্কন করার জন্য স্বেচ্ছায় অনুমতি দেন।
advertisement
এরপর একটি দুটি করে দেওয়াল অঙ্কন করতে করতে গোটা গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির দেয়াল অঙ্কন করার ফলে আপাতত সেজে ওঠেছে গোটা গ্রাম।পাশাপাশি এলাকার যে সমস্ত পুরানো মন্দির রয়েছে, সেই সমস্ত মন্দিরের দেওয়ালে পৌরাণিক কাহিনী অঙ্কন করে গ্রামের মানুষের নজর কেড়েছেন তারা। তারা জানিয়েছেন একদিকে যেমন নতুন প্রজন্মের কাছে গ্রামের সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়েছে, তেমনি বন-জঙ্গল সাধারণ মানুষের জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তাও তুলে ধরা হয়েছে। অপরদিকে জঙ্গলকে রক্ষা করতে কী করণীয়, সেই বিষয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে তারা ছবির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। যা নতুন প্রজন্মের আরও উৎসাহ বাড়িয়েছে। তাদের আশা এর ফলে সাধারণ মানুষ অনেক সচেতন হবেন এবং জঙ্গল থেকে অবাধে গাছ কাটা বন্ধ হবে। পাশাপশি গ্রীষ্মকালে যে ভাবে জঙ্গলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, তাও বন্ধ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন উদ্যোক্তারা।