রেল এবং সেলের যৌথ উদ্যোগে শুরু হয় কুমারপুরে রেল ব্রিজ তৈরি। শিলান্যাস এরপর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ চার বছর। তবে এখন সম্পন্ন হয়নি ব্রিজ। স্থানীয়দের অভিযোগ, মাত্র ২৫% কাজ এগিয়েছে ব্রিজ নির্মাণের জন্য। ফলে সমস্ত সমস্যা আরও বেড়ে গিয়েছে।
আসানসোল: ঘটা করে শুরু হয়েছিল কুমারপুর রেল ব্রিজ তৈরির কাজ। স্থানীয়দের দাবি মেনে আসানসোলের কুমারপুরে একটি ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। তৎকালীন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় শিলান্যাস করেন রেল ব্রিজের কাজ। রেল এবং সেলের যৌথ উদ্যোগে শুরু হয় কুমারপুরে রেল ব্রিজ তৈরি। শিলান্যাস এরপর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ চার বছর। তবে এখন সম্পন্ন হয়নি ব্রিজ। স্থানীয়দের অভিযোগ, মাত্র ২৫% কাজ এগিয়েছে ব্রিজ নির্মাণের জন্য। ফলে সমস্ত সমস্যা আরও বেড়ে গিয়েছে। কবে এই সেতু নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হবে, তার উত্তর নেই কারোর কাছে। কেন এত ধীর গতিতে কাজ হচ্ছে, সে বিষয়েও কোনো উত্তর নেই স্থানীয়দের কাছে। তবে তারা চাইছেন, দ্রুত এই সেতু নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হোক। অনেকেই কটাক্ষ করে বলছেন, তৎকালীন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় ব্রিজ নির্মাণের জন্য বিশেষভাবে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তিনি তৃণমূলে চলে গিয়েছেন। সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন। তাই সেতু নির্মাণের কাজ অত্যন্ত ধীরগতিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। উল্লেখ্য হিরাপুর রেল ইয়ার্ডের সঙ্গে আসানসোল পুরনো জিটি রোডের সংযোগকারী হিসেবে এই ব্রিজের প্রস্তাব করা হয়। সেই মতই তৈরি হয় ব্রিজের নকশা। শিলান্যাস এরপর শুরু হয় কাজ। কিন্তু দীর্ঘ চার বছর কেটে গিয়েছে। আর সেতু নির্মাণ হয়েছে মাত্র ২৫ শতাংশ। আর সমস্যা থেকে গিয়েছে আগের মতোই। স্থানীয়দের অভিযোগ, দিনে আট থেকে নয় বার কুমারপুর ব্রিজের নিচে রেল গেট বন্ধ থাকে। ফলে আটকে পরেন স্থানীয় মানুষজন, স্কুলপড়ুয়া থেকে শুরু করে এম্বুলেন্স। দীর্ঘ সময় তাদের যানজটের মধ্যে অপেক্ষা করতে হয়। নষ্ট হয় মূল্যবান সময়। ব্রিজ তৈরির জন্য পারাপারের রাস্তা আরও কমে গিয়ে সমস্যা জটিল হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে স্থানীয়দের অনুরোধ, যাতে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার এই ব্রিজটির কাজ সম্পন্ন করার দিকে বিশেষভাবে নজর দেয়।