বাড়িতে গিয়ে মেয়ের বাবা-মাকে বোঝানো হয়, নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দেওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। বিয়ে বাড়িতে মেয়ের বয়স জানতে চান চাইল্ডলাইন এবং প্রশাসনের আধিকারিকরা। কিন্তু মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ার কথা স্বীকার করে না পরিবার-পরিজনেরা। তার পরেই বিয়ে বন্ধ করার নির্দেশ দেয় প্রশাসন। সেসময় আত্মীয়-পরিজন বাধা দিতে এলে যুগ্ম বিডিও সাফ জানিয়ে দেন, সরকারি কাজে বাধা দিলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপর ওই নাবালিকা এবং তার বাবা-মাকে নিয়ে যাওয়া হয় নিউ টাউনশিপ থানায়।
advertisement
জানা গিয়েছে লাউদোহার রাঙ্গামাটি এলাকার এক যুবকের সঙ্গে ওই নাবালিকার বিয়ে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু নবম শ্রেণির ছাত্রীর বয়স মাত্র ১৭ বছর। তাই বিয়ে রুখে দিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা। নাবালিকার বাবা নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছিলেন অবশ্যই। কিন্তু তিনি মেয়েকে এখন বাড়িতেই রেখে দিতেন। পরিবার আর্থিকভাবে দুর্বল হওয়ার জন্যই ভালো পাত্র পেয়ে বিয়ে ঠিক করেছিলেন তিনি। যদিও পুলিশ প্রশাসনের পদক্ষেপে হুঁশ ফিরেছে নজরুল ইসলামের। মেয়ের বিয়ে বন্ধ করেছেন তিনি। তবে বিয়ে বাড়িতে হাজির পরিবার-পরিজনদের খাওয়ানোর অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়নি। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। জেমুয়া ভাদুতলা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, ওই নাবালিকা কন্যাশ্রীর আওতায় রয়েছে। কিন্তু পরিবারের তরফ থেকে বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল। এই সমস্ত এলাকায় নাবালিকাদের বিয়ে বন্ধ করার জন্য আরও বেশি সচেতনতা মূলক প্রচার এর প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন তিনি।