এবছর পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৩ হাজার ২৫৭ জন। যার মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা বেশি। চলতি বছরে ১৮ হাজারের বেশি পড়ুয়া মাধ্যমিক দিচ্ছেন জেলা থেকে। অন্যদিকে ছাত্রীর সংখ্যা ১৪ হাজার।
পশ্চিম বর্ধমান: এক বছর বাদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হল চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। আজ সোমবার ছিল মাধ্যমিকের প্রথম ভাষার পরীক্ষা। করোনার কারণে গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করেছিল রাজ্য সরকার। এই বছর সংক্রমণ আয়ত্তে থাকায়, পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার আয়োজন করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষা চলবে আগামী ১৪ মার্চ পর্যন্ত। মাধ্যমিকের প্রথম দিনের পরীক্ষায় জেলা জুড়ে বিভিন্ন কেন্দ্রে উৎসাহী পড়ুয়াদের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। পাশাপাশি পড়ুয়াদের সঙ্গে ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে অভিভাবকদের। পরীক্ষা নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা কিছুটা চিন্তিত বলেও জানিয়েছেন অনেকে। তবে পরীক্ষার আয়োজন হওয়ার ফলে অভিভাবক এবং পড়ুয়ারা খুশি। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য বেশকিছু পদক্ষেপ করেছে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষার আয়োজনের জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় আসানসোল-দুর্গাপুর সহ সমস্ত জায়গাতেই পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বেড়েছে। পাশাপাশি পরীক্ষা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে আইসোলেশন রুমের ব্যাবস্থা। এবছর পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৩ হাজার ২৫৭ জন। যার মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা বেশি। চলতি বছরে ১৮ হাজারের বেশি পড়ুয়া মাধ্যমিক দিচ্ছেন জেলা থেকে। অন্যদিকে ছাত্রীর সংখ্যা ১৪ হাজার। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসন যথেষ্ট তৎপর রয়েছে। শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক সহ পুলিশ, প্রশাসনের কর্তারা সতর্ক রয়েছেন। পরীক্ষা কেন্দ্রে পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।পাশাপাশি মেইন ভেনুতে বাড়তি পুলিশের সর্তকতা দেখা গিয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার আগে থার্মাল গান দিয়ে দেখা হয়েছে পড়ুয়াদের শরীরের তাপমাত্রা। পাশাপাশি মোবাইল নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে ঢোকার ক্ষেত্রে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পর্ষদ।