মাত্র ১ থেকে ৩ ইঞ্চি চওড়া। ঘাসের সাথে লুকিয়ে থাকে। কর্দমাক্ত ও স্যাঁতস্যাতে মাটিতে হয়। ওই উদ্ভিদের পাতাগুলি লাল বর্ণের ও গোলাকার হয়৷ পাতার মধ্যে অসংখ্য সরু সরু শুঁয়ো থাকে।
পশ্চিম বর্ধমানঃ শিল্পাঞ্চলের মাটিতে দেখা পাওয়া গিয়েছে লুপ্তপ্রায় পতঙ্গভুক উদ্ভিদ সূর্যশিশিরের। বিদ বিহার পঞ্চায়েতের বেশ কয়েক বিঘা জমিতে সূর্যশিশির এর দেখা পাওয়া গিয়েছে। কর্দমাক্ত স্যাঁতস্যাঁতে ফাঁকা জমিতে উজ্জ্বল রঙের এই ফুল দেখতে পান স্থানীয়রা। কয়েক বিঘা জমিতে হঠাৎ করে জন্ম নেওয়া সূর্যশিশির চিনতে ভুল হয়নি বিশেষজ্ঞদের। কৌতুহলী মানুষজনের ভিড় জমেছে। স্থানীয়রাও ব্যাপকভাবে কৌতুহলী রয়েছেন। পাশাপাশি এই সমস্ত লুপ্তপ্রায় সূর্যশিশির গাছ গুলি সংরক্ষণের দাবি তোলা হয়েছে। অনেকেই এই উদ্ভিদের ভেষজ গুণ রয়েছে বলে দাবি করছেন। লুপ্তপ্রায় পতঙ্গভুক উদ্ভিদ সূর্যশিশিরের অজস্র পরিমানে দেখা মিলতেই সংরক্ষণের দাবি নিয়ে প্রশাসনের কাছে সরব কাঁকসা থানার শিবপুরের বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, প্রশাসন উদ্যোগী হলেই পতঙ্গভুক তথা ভেষজগুণে সমৃদ্ধ সূর্যশিশির উদ্ভিদ ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও ওই উদ্ভিদ নিয়ে কৌতুহলী পড়ুয়াদের ব্যবহারিক ক্লাসেরও ব্যবস্থা করা যাবে এলাকায়। তাঁদের প্রত্যাশা, নজিরবিহীন পতঙ্গভুক ওই উদ্ভিদকে কেন্দ্র করে ভবিষ্যতে এলাকায় জীবন - জীবিকাও গড়ে উঠবে। ব্লক প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে উদ্যানপালন বিভাগের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছে। প্রসঙ্গত, সূর্যশিশির উদ্ভিদ এক প্রকার মাংসাশী উদ্ভিদ। মাত্র ১ থেকে ৩ ইঞ্চি চওড়া। ঘাসের সাথে লুকিয়ে থাকে। কর্দমাক্ত ও স্যাঁতস্যাতে মাটিতে হয়। ওই উদ্ভিদের পাতাগুলি লাল বর্ণের ও গোলাকার হয়৷ পাতার মধ্যে অসংখ্য সরু সরু শুঁয়ো থাকে। ওই উদ্ভিদ থেকে স্বচ্ছ আঠালো তরল পদার্থ নিঃসরন হয়ে পাতায় মজুত থাকে শিকার করার জন্য। পাতার ওপরে থাকা তরল সূর্যের আলোয় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে ও সুগন্ধি ছড়ায়। ছোটো ছোটো কীটপতঙ্গ তরল পদার্থ খাবার জন্য আকৃষ্ট হতেই ওই উদ্ভিদের ফাঁদে পড়ে। পাতার ওপরে থাকা শুঁয়ো গুলি কীটপতঙ্গ'কে আঁকড়ে ধরে। আঠালো তরলে আটকে যায় কীটপতঙ্গ। ওই কীটপতঙ্গের শরীরের রস শোষণ করে সূর্যশিশির।