টাকার কোনও বৈধ নথিপত্র দেখাতে না পারায়, পুরো টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পাশাপাশি শুরু হয়েছে এই ঘটনার তদন্ত। নির্বাচনের মুখে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আসানসোল: নাকা চেকিংয়ের সময় কুলটিতে উদ্ধার হল আবার বিপুল পরিমাণ টাকা। মধ্যরাতে পুলিশের নাকা চেকিংয়ে এক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এই টাকার কোনও বৈধ নথিপত্র দেখাতে না পারায়, পুরো টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পাশাপাশি শুরু হয়েছে এই ঘটনার তদন্ত। নির্বাচনের মুখে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কুলটির নাকা চেকিং পয়েন্টে এই টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্বাচনের মুখে আসানসোল এবং ঝাড়খণ্ড সংলগ্ন সীমানাগুলিতে নিয়মিত নাকা চেকিং চলছে। প্রতিদিনের রুটিন বুধবার রাতেও এই নাকা চেকিং চলছিল। কুলটি থানা এবং বরাকর ফাঁড়ির যৌথ উদ্যোগে পুলিশ, আসানসোলে ঝাড়খণ্ড সীমান্ত সংলগ্ন বরাকর চেকপোষ্টে নাকা চেকিং করছিল। সে সময় এই বিপুল পরিমাণ টাকা এক ব্যবসায়ী কাছে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়বাজার কলকাতার বড় বাজার এলাকার বাসিন্দা বিজয় গুপ্তা এদিন ঝাড়খণ্ডের চিরকুন্ডা থেকে আসানসোল হয়ে ফিরছিলেন। সেসময়ই বরাকর চেকপোষ্টে তার গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তল্লাশি চালাতে গিয়ে বিজয় গুপ্তার গাড়ি থেকে চার লক্ষ ২২ হাজার ৪০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ নগদ টাকার কোনও নথিপত্র দেখাতে পারেননি বিজয় গুপ্তা। ফলে ওই টাকা এসএসডি ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বাজেয়াপ্ত করে বরাকর ফাঁড়ির পুলিশ। উল্লেখ্য, সামনেই রয়েছে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। ইতিমধ্যে নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আগামী ১২ এপ্রিল হবে ভোট। ফলে শহরজুড়ে জারি রয়েছে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা। চলছে নজরদারি। তাছাড়াও যে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাংলা এবং ঝাড়খণ্ড সংলগ্ন সীমান্ত এলাকায় পুলিশের নাকা চেকিং বাড়ানো হয়েছে। যাতে করে ভিন রাজ্য থেকে কেউ কুমতলব নিয়ে রাজ্যে ঢুকে নির্বাচনে অশান্তি পাকাতে না পারে, তার জন্য আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। সীমান্ত সংলগ্ন প্রতিটি চেকপোষ্টে চলছে নিয়মিত নজরদারি। আর তেমনই নজরদারি চালাতে গিয়ে বরাকর চেকপোষ্টে উদ্ধার হয়েছে এই বিপুল পরিমাণ টাকা। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেও নির্বাচন দিন ঘোষণা হওয়ার মুখে বহু নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল কুলটি থানার উদ্যোগে। চেকপোষ্টে তল্লাশি চালাতে গিয়ে প্রচুর পরিমাণ টাকা উদ্ধার করা হয়। তারপর ফের এদিন আরও একবার হিসাব বহির্ভূত টাকা উদ্ধার করল পুলিশ।