অভিযানে অভিযুক্তের বাড়ি থেকে ছটি হ্যান্ড মেড পাইপগান উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি উদ্ধার করা হয়েছে ৭০ রাউন্ড কার্তুজ। গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে চালানো অভিযানের সাফল্য পেয়েছে পুলিশ।
পাণ্ডবেশ্বর: বিশেষ পুলিশি অভিযানে প্রচুর পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হল পাণ্ডবেশ্বরে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পাণ্ডবেশ্বর থানার আধিকারিক অভিযান চালান। সেই অভিযানে এক নিরাপত্তা কর্মীর বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণে বেআইনি অস্ত্র শস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। জানা গিয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সঞ্জয় মোদি। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তাকর্মী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পাণ্ডবেশ্বর থানার আধিকারিক সঞ্জয় মোদির বাড়িতে অভিযান চালান। সেই অভিযানে অভিযুক্তের বাড়ি থেকে ছটি হ্যান্ড মেড পাইপগান উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি উদ্ধার করা হয়েছে ৭০ রাউন্ড কার্তুজ। গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে চালানো অভিযানের সাফল্য পেয়েছে পুলিশ। কিন্তু এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত পাণ্ডবেশ্বর এলাকার মানুষজন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা এলাকায় ডালুর বাঁধ আট নম্বর এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় মোদি। তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয় রবিবার রাতে। পাণ্ডবেশ্বর থানার আধিকারিক দলবল নিয়ে এই অভিযান চালান। তখনই এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। কেন বাড়িতে এই বিপুল পরিমান অস্ত্র মজুত করা হয়েছিল, তা সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। কী উদ্দেশ্য নিয়ে এই বিপুল পরিমান অস্ত্র মজুদ করা হয়েছিল, কোথা থেকে এই অস্ত্র গুলি নিয়ে আসা হয়েছিল, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য দিন কয়েক আগে পাণ্ডবেশ্বর এর পাশের সালানপুরে একটি বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিস পায় পুলিশ। এই ঘটনায় মুঙ্গেরের বাসিন্দা তিনজন সহ চিত্তরঞ্জনের রেল কারখানার এক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপরে আবার পাণ্ডবেশ্বর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হল বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র। এই অস্ত্র-গুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এর অন্ডাল শাখার এসিপি তাহিদ আনোয়ার একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে এই অস্ত্র উদ্ধারের সাফল্য বর্ণনা করেছেন। প্রসঙ্গত রামপুরহাট কাণ্ডের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন রাজ্যজুড়ে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান চালানো হবে। তারপরেই এই অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে পাণ্ডবেশ্বর এলাকা থেকে। যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে ১০ দিন পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হয়। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন বলে সূত্রের খবর।