পশ্চিম বর্ধমান: এলাকার মৎস্যজীবীদের স্বনির্ভর করার উদ্যোগ নিল কাকসা ব্লক প্রশাসন। মৎস্যচাষীদের স্বনির্ভর করার উদ্দেশ্যে তাদের দেওয়া হল মাছের চারা। এলাকায় মাছ চাষ বাড়াতে এবং এলাকার আর্থিক অবস্থার উন্নতির জন্য, ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এলাকার মৎস্যজীবীরা যাতে স্বনির্ভর হতে পারেন, যাতে মাছ চাষ করে নিজেদের উপার্জনের দিশা খুঁজে পান, তার জন্যই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কাঁকসা ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে। কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এবং জেলা পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে স্থানীয় মাছ চাষীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে মাছের চারা। এলাকার জলাশয় গুলি যাতে রক্ষণাবেক্ষণ হয়, যাতে মাছ চাষ করে সেগুলিকে কাজে লাগানো যায়, তার জন্য মৎস্যচাষীদের আহ্বান জানানো হয়েছে। তাছাড়া যে সমস্ত ছোট ছোট জলাশয়গুলিতে অল্প পরিমাণ মাছ চাষ হচ্ছে, তা যাতে আরও বাড়ানো যায়, তার জন্য মৎস্যজীবীদের হাতে মাছের চারা তুলে দেওয়া হয়েছে ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে। কাঁকসা ব্লকের লক্ষ্য রয়েছে, মৎস্যজীবীদের দ্বারা উৎপাদিত এই মাছ আগামী দিনে জেলার বিভিন্ন বাজারে রপ্তানি করা হবে। যার ফলে এলাকার আর্থিক উন্নতি হবে। মৎস্যজীবীরা নিজেদের উপার্জন করতে পারবেন। পাশাপাশি বহু মানুষ নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য পথ খুঁজে পাবেন। অন্যদিকে জলাশয় গুলি যদি মাছ চাষের কাজে ব্যবহৃত হয়, তাহলে তা মজে গিয়ে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও কম হবে। পাশাপাশি অবৈধ দখলদারিও রোখা যাবে। তার জন্যই মৎস্যজীবীদের প্রচুর পরিমাণ মাছের চারা দেওয়া হয়েছে তাদের স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে। জানা গিয়েছে, কাঁকসা ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তের মৎস্যচাষীদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্য নিয়ে কাঁকসার পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয় থেকে কাঁকসা ব্লকের ৪০ জন মৎস্যচাষীকে ২১ কেজি করে মাছের চারা প্রদান করা হল। এদিনের মৎস্য চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা। তাছাড়াও পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি সমীর বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি সমীর বিশ্বাস জানিয়েছেন, কাঁকসা ব্লকে বহু মৎস্যচাষী আছেন। যারা মাছ চাষ করে জীবন নির্বাহ করেন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এবং রাজ্য মৎস্য দফতরের উদ্যোগে মৎস্যচাষীদের স্বাবলম্বী করার জন্য নানান প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সেই প্রকল্পের আওতায় এদিন ৪০জন মৎস্যচাষীকে ২১ কেজি করে মাছের চারা প্রদান করা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এর ফলে মৎস্য চাষীরা ব্যাপক ভাবে উপকৃত হবেন। উৎপাদিত এই মাছ স্থানীয় বাজারগুলিতে রপ্তানি করা হবে। ফলে মাছের যোগান বাড়বে। স্বাভাবিকভাবে তখন মাছ কিনতে গিয়ে মধ্যবিত্তের পকেটে আর ছ্যাকা লাগবে না। অন্যদিকে মৎস্যচাষীরাও উপার্জন করতে পারবেন। তেমনভাবেই এলাকার আর্থিক অবস্থারও উন্নতি হবে।