তাঁদের দাবি অনুযায়ী পুরোহিত ও মৃৎশিল্পীদের দাবি, এই প্রথা এসেছে বিশ্বাস থেকে। এমনই পতিতালয়ের দুর্গাপুজো হয় দুর্গাপুরের কাদারোডের নিষিদ্ধ পল্লীতে। ওই সমাজের মহিলাদের উদ্যোগে চলতি বছরে তাঁদের পুজো সপ্তম বর্ষে পদার্পণ করছে। পুজোর বাজেট নির্ধারিত হয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। পাশাপাশি সরকারি আর্থিক অনুদানও মেলে।
advertisement
আরও পড়ুন : রাত পোহালেই কৌশিকী অমাবস্যা! মা কালীর চরণে এই ৩ জিনিস নিবেদনেই পুণ্যলাভ! কুনজর কেটে হবে অর্থবৃষ্টি!
এবারের তাঁদের পুজোর থিম “এই মাটিতে তৈরি উমা, তবুও কেন এত বিভীষিকা”। ইতিমধ্যেই তাঁদের খুঁটি পুজো সম্পন্ন হয়েছে। ওইদিন উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর কাদারোড দুর্বার সমিতির বোর্ড সভাপতি তথা পুরসভা প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য ধর্মেন্দ্র যাদব ও সমিতির বোর্ড সদস্য তরুণ রায়। এই বিষয়ে মৃৎশিল্পী অভিজিৎ রায় জানান, দুর্গার মূর্তি গড়তে যেমন গঙ্গা মাটি ব্যবহার হয় তেমনই পতিতালয়ের মাটি ছাড়া অসম্পূর্ণ থাকে মায়ের মূর্তি। পাশাপাশি পুরোহিত সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবী দুর্গার মূর্তি তৈরি করতে ব্যবহৃত হয় পতিতালয়ের মাটি। বহুদিন ধরে এই নিয়ম শাস্ত্র মেনে পালিত হচ্ছে। সমাজ যেখানে এই সমস্ত নারীদের পরিহার করেছে, তাদের দূরে ঠেলে দিয়েছে, সেখানে তাঁদের কাছে টেনে নিয়েছেন আদ্যাশক্তি।