অতিমারির ধাক্কা কাটিয়ে ফের দু'বছর পর জাঁকজমকের সঙ্গে দুর্গাপুরের করঙ্গ পাড়ায় আয়োজিত হল বাসন্তী পুজো। গোটা রাজ্যের পাশাপাশি দুর্গাপুরের বিভিন্ন জায়গায় বাসন্তী পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
দুর্গাপুর: অতিমারির ধাক্কা কাটিয়ে ফের দু'বছর পর জাঁকজমকের সঙ্গে দুর্গাপুরের করঙ্গ পাড়ায় আয়োজিত হল বাসন্তী পুজো। গোটা রাজ্যের পাশাপাশি দুর্গাপুরের বিভিন্ন জায়গায় বাসন্তী পূজার আয়োজন করা হয়েছে। তবে করঙ্গ পাড়ার বাসন্তী পুজো কিছুটা নজর কেড়েছে দর্শনার্থীদের। মূলত সাবেকি ধাঁচের প্রতিমা, প্রতিমার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মন্ডপ এবং মন্ডপ চত্বরের আলোকসজ্জা, সব মিলিয়ে এই বাসন্তী পুজোকে অনন্য রূপ দিয়েছে। যা এলাকাবাসী তো বটেই, বাইরে থেকে আসা মানুষজনেরও নজর কাড়ছে। উল্লেখ্য, বাসন্তী পুজোকে আদি দুর্গাপুজো বলা হয়। নবরাত্রির সময় বাসন্তী পুজোর আয়োজন করা হয়। বাংলার বিভিন্ন জায়গায় দুর্গা পুজোর মতো নিয়ম মেনে চলে মহামায়ার আরাধনা। ষষ্ঠীতে বোধনের পরে, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এবং দশমীর পুজো হয়। বহু বাড়িতে যেমনভাবে দুর্গা পুজো হয়, তেমনি বনেদিয়ানা বাসন্তী পুজো লক্ষ্য করা যায় বহু বাড়িতে। তা ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় এলাকাবাসী বা ক্লাবের উদ্যোগে বাসন্তী পুজোর আয়োজন করা হয়। শহর দুর্গাপুরে এইরকম বেশ কয়েকটি বাসন্তী পুজো হয়। তবে সেই তালিকায় অনেকটাই নতুন করঙ্গ পাড়ার বাসন্তী পুজো। কিন্তু চলতি বছরে এই পুজো বেশ নজর কেড়েছে শহরবাসীর। এলাকার বাসন্তী পুজোকে কেন্দ্র করে যেমন ভাবে মেতে উঠেছেন স্থানীয় মানুষজন, তেমনভাবেই বাইরে থেকে বহু মানুষ এই পুজো দেখতে আসছেন। একদিকে যেমন ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে, নিয়ম মেনে পুজোপাঠ চলছে, তেমনি চলছে প্রসাদ বিতরণ। এলাকাবাসীর কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। শিশুদের জন্য নানা রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে।