ডাক্তারি পড়তে গত দু'বছর আগে ইউক্রেন পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। থাকতেন খারকিভ শহরে। যে শহরে রুশ হানায় জর্জরিত হয়ে কার্যত ধূলিসাৎ হতে বসেছে। সেখান থেকে ফিরে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তিনি।
পশ্চিম বর্ধমান: অবশেষে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফিরলেন আসানসোল রেলপাড়ার বাসিন্দা সাহলিন সাজিদ। ডাক্তারি পড়তে গত দু'বছর আগে ইউক্রেন পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। থাকতেন খারকিভ শহরে। যে শহর রুশ হানায় জর্জরিত হয়ে কার্যত ধূলিসাৎ হতে বসেছে। সেখান থেকে ফিরে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন কিভাবে পর্যাপ্ত পানীয় জল না পেয়ে, হাতের কাছে খাবার না পেয়ে কষ্ট দিন কাটিয়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত থেকে কিভাবে বাড়ি ফিরেছেন, সেই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির কথা বাড়ি ফিরে জানিয়েছেন তিনি। সাহলিন বলেছেন, এখন সেখানে পানীয় জল খাবার পাওয়া দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। হাতের কাছে যা পাওয়া যাচ্ছে, তাই খেয়ে কোনরকমে দিন কাটাতে হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, হাতের কাছে টাকা থাকছে না। কারণ এটিএম থেকে টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মত অসুবিধায় পড়ছেন প্রবাসীরা। বহু ভারতীয় পড়ুয়া এখনো ইউক্রেনে আটকে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে তাদেরকে ফিরিয়ে আনার জন্য ভারত সরকার ও বিদেশমন্ত্রককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সাহলিন। অন্যদিকে তার বাবা সাজিদ আক্তার জানিয়েছেন, মেয়ের জন্য কয়েকটা দিন চরম দুশ্চিন্তায় এবং উৎকণ্ঠা নিয়ে কেটেছে। মেয়ে বাড়ি ফিরে আসায় তিনি চিন্তা মুক্ত হয়েছেন। পাশাপাশি মেয়েকে বাড়ি ফিরিয়ে আনার জন্য বিদেশমন্ত্রককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, সাহলিন আটকে পড়েছিলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে। পরিস্থিতি এমন হয়ে যায় , যে তার সঙ্গে পরিবারের লোকজন ঠিক ভাবে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। কারণ তিনি আটকে পড়েছিলেন বাংকারে। সেখান থেকে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না পরিবারের সঙ্গে। ফলে পরিবারের দুশ্চিন্তায় দিন কাটছিল। অবশেষে বিদেশমন্ত্রকের সহযোগিতায় বাড়ি ফিরতে পেরে তিনি খুশি। তবে এখনো যে সমস্ত ভারতীয় পড়ুয়ারা আটকে রয়েছেন, তাদের জন্য চিন্তা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সাহলিন।অন্যদিকে তিনি এও বলেছেন, যদি ইউক্রেনের পরিস্থিতি ঠিক হয়, তাহলে ডাক্তারি পড়তে তিনি ফের ওই দেশে যাবেন।