পরিস্থিতি সামাল দিতে স্কুলে হাজির হয় রূপনারায়ানপুর ফাঁড়ির পুলিশ। আহত ওই ছাত্রীকে পিঠাকেয়ারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পশ্চিম বর্ধমানঃ আছড়া রায় বলরাম গার্লস হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী আছড়া পঞ্চায়েতের রুইদাস পাড়ার বাসিন্দা ঝর্ণা রুইদাসকে মারধর করার অভিযোগ উঠল স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রা ঘোষের বিরুদ্ধে। স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ আহত ছাত্রীর পরিবারের। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্কুলে হাজির হয় রূপনারায়ানপুর ফাঁড়ির পুলিশ। আহত ওই ছাত্রীকে পিঠাকেয়ারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাড়ি ফেরার পরে ওই আহত ছাত্রীকে দেখতে যান স্কুল কমিটির সভাপতি তাপস উকিল, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফাল্গুনী কর্মকার ঘাসি, সহ সভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, সমিতির সদস্য পম্পা ঘোষ সহ আরও অনেকে। এই প্রসঙ্গে ছাত্রী ঝর্ণা রুইদাস বলেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর শরীর অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তাই প্রধান শিক্ষিকাকে গিয়ে বললাম বাড়ি যাব। শরীর খুব খারাপ লাগছে এবং খুব খিদে পেয়েছে। তখন প্রধান শিক্ষিকা রেগে আমরা মাথায়,তারই হাতে পরে থাকা মোটা শাখা দিয়ে আঘাত করেন এবং খুব জোরে বুকেধাক্কা মারেন। তাছাড়াও ভ্যাকসিন নেওয়া হতে ধরে চেপে ধরেন। ফলে রক্তক্ষরণ হয়। তারপরেই বাড়ির লোকজন এসে আমাকে নিয়ে যায় হাসপাতালে। এই প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রা ঘোষ বলেন, কোনো প্রকার মারধর করা হয়নি। আজ স্কুলে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চলছে। তাই প্রচুর ভিড় থাকায় লাইন ঠিক করার সময় ভুল বসত ওই ছাত্রীর হাত ধরে ফেলি এবং তার হাত ধরে বেঞ্চে বসতে বলি। ভ্যাকসিন নেওয়া হাতটি ধরার কারণে তার রক্ত বের হয়ে পড়ে। এই প্রসঙ্গে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি তাপস উকিল জানান, পুরো ঘটনা আলোচনা করা হচ্ছে। আহত ছাত্রীকে দেখতে এসেছিলাম। সত্যি তার মাথায় আঘাত লেগেছে। আগামী দুদিনের মধ্যে বৈঠক করে ঘটনার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।