একটি সাইকেলকে তিনি মোটর চালিত সাইকেলে রূপান্তরিত করেছেন তিনি। টানা ২২ দিন ধরে লাগাতার পরিশ্রম করে তিনি অবশেষে পরিশ্রমের ফল পেয়েছেন। তৈরি করে ফেলেছেন মোটর চালিত সাইকেল। বাড়িতে অল্প খরচের মধ্যে কার্যত একটি বাইক তৈরি করে ফেলেছেন তিনি।
আসানসোল: শখের বশে হয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ার। স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। সেই স্বপ্ন পূরণ করে সকলকে তাজ্জব করে দিয়েছেন তিনি। আস্ত একটি বাইসাইকেলকে রূপান্তর করেছেন মোটর চালিত সাইকেলে। শুধুমাত্র শখ আর জেদের ওপর ভরসা করে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন আসানসোলের বকবন্দি গ্রামের বাসিন্দা মিলন মন্ডল। পেশায় সাইকেল মেকানিক তিনি। মাঝেমধ্যে মোটরবাইক মেরামতির কাজ করেন। হঠাৎই তার মাথায় খেয়াল চাপে সাইকেলকে মোটর সাইকেলে রূপান্তরিত করবেন। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। একটি সাইকেলকে তিনি মোটর চালিত সাইকেলে রূপান্তরিত করেছেন তিনি। টানা ২২ দিন ধরে লাগাতার পরিশ্রম করে তিনি অবশেষে পরিশ্রমের ফল পেয়েছেন। তৈরি করে ফেলেছেন মোটর চালিত সাইকেল। বাড়িতে অল্প খরচের মধ্যে কার্যত একটি বাইক তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। যে বাইক তৈরিতে খরচ হয়েছে মাত্র ১৬ হাজার টাকা। তাজ্জব হওয়ার ব্যাপার এখানেই শেষ হয়নি।অবাক হওয়ার বাকি আছে এখনও। এই মোটরসাইকেলটি এক লিটার তেলে চলতে পারে ৯০ কিলোমিটার, এমনটাই দাবি করেছেন মিলন বাবু। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই আশপাশের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১০০ জন মানুষ এই মোটর চালিত সাইকেল চালিয়ে দেখেছেন. আশাব্যঞ্জক মতামত ব্যক্ত করেছেন সকলেই। যা শুনে খুশি হয়েছেন উদ্যোক্তা মিলন মন্ডল। তিনি বলছেন, যদি সরকারিভাবে তার তৈরি এই সাইকেল স্বীকৃতি পায়, তাহলে আগামী দিনে তিনি আরও সাইকেল তৈরি করবেন। জ্বালানি তেলের দুর্মূল্যের বাজারে যা যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে বলেই আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। কারণ একদিকে এই মোটরসাইকেলের মাইলেজ বেশি, অন্যদিকে খরচ কম। এই দুইয়ের মিশ্রণে মিলন মন্ডলের তৈরি মোটর চালিত সাইকেল অন্য আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। একটি পড়ে থাকা বাইকের ইঞ্জিন দিয়ে এই মোটরসাইকেলটি তৈরি করেছেন আসানসোলের মিলন মন্ডল।