বিধায়ক ও তার সাগরেদদের বেদম মারে পুলিশ হেফাজতে বাবার মৃত্যু হয়েছে। সোমবারই এই অভিযোগ করেছিল উন্নাওয়ের নির্যাতিতার পরিবার। পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে সেই অভিযোগই মান্যতা পেল। রবিবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে মেয়ের ধর্ষণের বিচার চেয়ে সপরিবারে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বছর পঞ্চাশের প্রৌঢ়। অভিযোগ, রাতেই তার বাড়িতে চড়াও হন অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়কের ভাই তার সাঙ্গপাঙ্গরা। নির্যাতিতার বাবাকে বেধড়ক মারধর করে তারা। উলটে পুলিশ ওই প্রৌঢ়কেই অস্ত্র আইনে গ্রেফতার করে। পুলিশ হেফাজতেও মারধর করার অভিযোগ ওঠে। সোমবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট পাওয়ার পর পুলিশ জানিয়েছে,
advertisement
- মারের চোটে অন্ত্রে ফুটো হয়ে যায় প্রৌঢ়ের
- প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়
- সারা দেহে ১৪টি আঘাতের চিহ্ন মিলেছে
পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ধর্ষণে অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়কের ভাই অতুল সেনগারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিধায়ককেও জেরা করা হবে।
দুহাজার সতেরোর এগারোই জুন নির্যাতিতার এফআইআরে বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেনগারের নাম ছিল না। কিন্তু পরের মাসেই এফআইআরে বিধায়কের নাম সামনে আসে। প্রশ্ন উঠেছে, জেনেবুঝেই কি নির্যাতিতার এফআইআর থেকে বিধায়কের নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল? এব্যাপারে উন্নাও পুলিশের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা। পুলিশ হেফাজতে নির্যাতিতার বাবার মৃত্যু নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নোটিস পাঠিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।