প্রতিবেশী রাজকুমার জাজোরিয়ার বাড়িতে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছে সীতারাম দাস ও রাজেশ যাদব ওরফে ছোটু। রাজকুমারের পাশের ফ্ল্যাটেও তাদের অবাধ যাতায়াত ছিল। ৮ জুলাই সেই মল্লিকা চক্রবর্তীর ফ্ল্যাটেই হানা দেয় ডাকাত দল। ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার হল সীতারাম, ছোটু সহ ছজন। ডাকাতির সময় দুষ্কৃতীদের মধ্যে কথোপকথন পুলিশকে জানিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা । সেই সূত্র ধরেই তদন্ত এগোয়।
advertisement
দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিবেশী মল্লিকা চক্রবর্তীর ফ্ল্যাটে নজরদারি চালাচ্ছিল সীতারাম ও ছোটু ৷ মল্লিকার বাড়িতে কয়েকবার কাজও করে ওই দু'জন ৷ কাজ করতে গিয়ে মল্লিকা চক্রবর্তীর ফ্ল্যাটে কোথায় কী আছে দেখে নেয় ৷ এরপর সীতারাম ও ছোটু কয়েকজনকে নিয়ে ডাকাতির ছক কষে ৷ ৮ জুলাই পূর্বপরিকল্পনা মাফিক মল্লিকার ফ্ল্যাটে লুঠপাট চালায় তারা ৷ অপেশাদারিত্বের অভাবেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে ছ'জন ৷ ডাকাতির সময় তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলে ৷ সেই কথোপকথন থেকে সূত্র মেলে ৷
এর আগেও মল্লিকা চক্রবর্তীর ফ্ল্যাটে ডাকাতির ছক কষেছিল সীতারাম। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই ছক ভেস্তে যায়। প্রতিবেশীর পরিচারকদের এ হেন কাণ্ডে হতবাক চক্রবর্তী পরিবার। পাশের ফ্ল্যাটেই ডাকাত। ভাবলেই শিউরে উঠছেন তারা। সীতারাম ও ছোটুর টিআই প্যারেডের অনুমোদন দিল বিধাননগর আদালত।
টিআই প্যারেডের কারণে সীতারাম ও ছোটুর ১৪ দিনের জেল হেফাজত ৷ মনোজ দাস, তপন পুরকাইত পরদেশী যাদব ও রাজা হালদারের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত ৷
সীতারাম-সহ চারজনের আদি বাড়ি বিহারে। কেষ্টপুরে থেকে সকলেই পরিচারকের কাজ করে। ডাকাতির পর তারা কেষ্টপুর ছেড়ে অন্য জায়গায় বাড়ি ভাড়া নেয়। তা থেকেই সন্দেহ আরও বাড়ে পুলিশের। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে লুঠ হওয়া সামগ্রী উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
