অপহরণকারীরা মোট চারবার ফোন করে অপহৃত ছাত্রের বাড়িতে ৷ কিন্তু মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার স্থান ঠিক হওয়ার আগেই বাড়ির পিছন থেকে উদ্ধার হয় বিট্টুর দেহ ৷ রাত পৌনে এগারোটা নাগাদ বিট্টু দাসের প্রতিবেশী মাধব হাজরা বাড়ির পিছনের গলিতে দেখতে পান বিট্টুর প্রাণহীন দেহ ৷ পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, ‘রাত পৌনে এগারোটা নাগাদ বাড়ির পেছনদিকে একটি বাচ্চা ছেলেকে শুয়ে থাকতে দেখি ৷ শুধু টি শার্ট পরা অবস্থায় পড়ে ছিল সে ৷ তখনই চেঁচামেচি করে লোকজনকে ডাকি ৷ কাছে গিয়ে দেখি ওটা বিট্টু ৷ দেহে তখন প্রাণ ছিল না ৷’ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায় ৷ পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে সোমবার সকালে জেমস লং সরণি অবরোধ করে মৃতের পাড়া প্রতিবেশীরা ৷ অবস্থা সামাল দিতে এলাকায় পৌঁছান জয়েন্ট সিপি ক্রাইম দেবাশিস বড়াল ৷
advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, অপহৃত ছাত্রকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ৷ গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে ৷ এছাড়া হাত ও পা দড়ি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে রাখার ফলে কালো দাগ রয়েছে ৷ কী উদ্দেশ্য ছাত্রকে খুন করা হল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ ৷ জয়েন্ট সিপি ক্রাইম দেবাশিস বড়াল জানান, ‘ঘটনার তদন্ত যদিও এখন প্রাথমিক পর্যায়ে, তবুও এটা শুধু অপহরণের ঘটনা বলে মনে হচ্ছে না ৷ এর পিছনে অন্য উদ্দেশ্যও থাকতে পারে ৷ তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ৷’