১) দাগি সংস্থাকেই সেতু তৈরির ভার! ২১ প্রাণের মাসুল দিল মহানগর
রেলের খাতায় কালো তালিকাভুক্ত। খোদ হায়দরাবাদের সংস্থা হয়েও, শ্রমিক নিরাপত্তার প্রশ্নে তদন্তের মুখে পড়তে হয়েছে গ্রেটার হায়দরাবাদ পুরসভার। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে কালো তালিকাভুক্ত করেছে উত্তরপ্রদেশ জল নিগম। তবু ‘আইভিআরসিএল’ নামে সেই সংস্থার হাতেই বিবেকানন্দ উড়ালপুল তৈরির ভার ছেড়ে রেখেছিল এই রাজ্যের সরকার। যদিও কার্যত দেউলিয়া হতে বসা ওই সংস্থা গত বছরের শেষ ছ’মাস প্রকল্পের কাজ প্রায় বন্ধ রাখতেও বাধ্য হয়েছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্মীয়মাণ সেই সেতুর ১০০ মিটার লম্বা একটি অংশ ভেঙে ২১ জনের মৃত্যু এবং অন্তত ২৭ জন আহত হওয়ার পরেই হঠাৎ যেন সম্বিৎ ফিরল! দায়ের হল এফআইআর। সংস্থার কলকাতার অফিসে হানা দিল লালবাজার। কর্তাদের কাউকে না পেয়ে সিল করা হল অফিস। পুলিশ সূত্রের খবর, কর্তাদের খোঁজে রাতে হায়দরাবাদ রওনা দিয়েছে গোয়েন্দাদের দল।
advertisement
২)কপিলের বংশধরদের হারিয়ে তিরাশির শোধ লয়েড-বাহিনীর
গোটা দেশকে বিহ্বল করে সেমিফাইনালে হারানোর ট্র্যাডিশন বজায় রাখল ওয়াংখেড়ে। শোকের হ্যাটট্রিক হল আরব সাগরের পারে। সাতাশির বিশ্বকাপ, নেহরু কাপ এবং এ বার টি-টোয়েন্টি সেমিফাইনাল! কিন্তু এ বারের প্রতিপক্ষ যেহেতু ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তাদের চরম অপ্রত্যাশিত সাত উইকেটে জয়ের মধ্যে অন্য একটা ঐতিহাসিক প্যাটার্নও ফুটে উঠছে। তেত্রিশ বছর আগের দার্শনিক বদলার! লর্ডসে ৬০ ওভারে ১৮৩ করেও বিশ্বকাপ ফাইনাল অবিশ্বাস্য জিতে গিয়েছিল ভারত।ওয়াংখেড়েতে ২০ ওভারে ১৯২ করে একই রকম অপ্রত্যাশিত ভাবে গোটা ভারতকে নিষ্পন্দ চেহারায় এনে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল তারা।
৩)‘মেয়র মেডিক্যালে যাও, বাকিটা আমি দেখে নিচ্ছি’
চার দিন পরেই ভোট। তার আগে যেন শাসকের মাথাতেই ভেঙে পড়ল উড়ালপুল।
রবীন্দ্র সরণির ধারে অশ্বত্থ-আগাছায় ঢেকে যাওয়া তেতলা বাড়ি। ইট-হাড়-পাঁজর বেরিয়ে পড়েছে। এরই সামনে বসে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফুটপাথে চেয়ার পেতে। মিনিডোর গাড়ির দু’মাথায় দুটি মাইক তত ক্ষণে লাগিয়ে ফেলা হয়েছে। লম্বা কালো তার টেনে মাউথ স্পিকারটাও এ বার চলে এলো তাঁর হাতে। বিকেল সওয়া তিনটে। বিবেকানন্দ উড়ালপুল ভেঙে পড়ায় বিপর্যয় মোকাবিলার ‘টোটাল কন্ট্রোল’ মুহূর্তে চলে এলো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে।
৪)প্রস্তুতি রাহুলের সভার, হাতে হাত সিপিএমের
প্রথমে আপত্তি ছিল। এখন সে সব অতীত! কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধীর সমাবেশ সফল করার জন্য জোরকদমে মাঠে নেমে পড়েছেন বর্ধমান জেলার শিল্পাঞ্চলের সিপিএম নেতা-কর্মীরা।
রাজ্যে প্রথম দফায় প্রচারে এসে কাল, শনিবার বর্ধমানের কুলটি ও দুর্গাপুরে সভা করার কথা রাহুলের। বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতায় এ বার কুলটি এবং দুর্গাপুর পশ্চিম আসনটি পেয়েছে কংগ্রেস। রাহুলের সভায় হাজির থাকার জন্য কংগ্রেসের তরফে বামফ্রন্ট নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আলিমুদ্দিন থেকে বর্ধমান জেলা সিপিএমের কাছে নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে, কুলটির সভায় দলের রাজ্য কমিটির সদস্য তথা আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী ও দুর্গাপুরের সভাটিতে পাণ্ডবেশ্বরের দলীয় প্রার্থী গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় হাজির থাকবেন। শুধু প্রতিনিধি পাঠানোই নয়। বিভিন্ন এলাকার সমর্থকদের সভায় নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় থেকে শুরু কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পতাকা-ফেস্টুন বাঁধা— সব কাজেই নেমে পড়েছেন সিপিএম কর্মীরা।
১) উড়ালপথে মৃত্যুমিছিল, কাঁচা সেতু ভেঙে শেষ ২১টি প্রাণ
উড়ালপুল যেন বধ্যভূমি হয়ে উঠল শহর কলকাতায় ৷ বৃহস্পতিবার ভরদুপুরে একটি নিমীর্য়মান উড়ালপুল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ব্যস্ত জনপথে ৷ মৃতের সংখ্যা ২১, জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ ৷
২) ভগবানের কারসাদি না চরম গাফিলতি, দিনভর দায় এড়াতে ব্যস্ত ঋণে জর্জর নির্মাণ সংস্থা
‘এটা ভগবানের হাত ৷ দুর্ঘটনার খবরে আমরাও শোকাহত৷ সংস্থার ২৭ বছরের ইতিহাসে এমন কখনও ঘটেনি ৷’ বিবেকানন্দ রোড়ে নির্মীয়মান উড়ালপুলে দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে এমনই দাবি নির্মাতা সংস্থা হায়দরাবাদের আইভিআরসিএল ৷
৩)যদি এক জনকেও বাঁচানো যায়, মৃত্যুপুরীতে দেবদূত মজুরেরাই
গরম থেকে বাঁচতে নির্মীয়মাণ বিবেকানন্দ উড়ালপুলের নীচে আশ্রয় নিয়েছিলেন যোগিন্দর৷ মাথায় ঠা-ঠা রোদ ৷ উড়ালপুলের নীচে তাই কিছুটা স্বস্তি ৷ তখনও যোগিন্দরের মতো পোস্তার মুটে-মজুররা ঘুণাক্ষরে আঁচ করতে পারেননি, স্বস্তির আশ্রয়স্থল মুহূর্তে বদলে যাবে শ্মশানপুরীতে!
৪) কুলটির সভায় বিধিভঙ্গে অভিযুক্ত উমা
ভোটের প্রচারে এসে জল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন কেন্দ্রীয় উন্নয়ন মন্ত্রী উমা ভারতী ৷ এতেই শুরু বিতর্ক ৷