২১ মে, ২০১৬- খারাপ আবহাওয়া, আর্থিক দুশ্চিন্তাকে সঙ্গী করেই সাগরমাথার দিকে এগোতে থাকেন পর্বতারোহীরা। একাধিক রেকর্ডের হাতছানি। বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে পা রাখার রোমাঞ্চ।
এভারেস্ট জয় করে রেকর্ড গড়েন চেতনা ও প্রদীপ সাহু। নামার পথে অসুস্থ চেতনার হাত ও পায়ের পাতায় ফ্রস্ট বাইট হয়ে যায়। হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার করা হয় চেতনাকে। কয়েকমাস আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় প্রদীপ সাহুর।
advertisement
সবচেয়ে বেশি বয়সে শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে এভারেস্ট জয় করতে গিয়েছিলেন দুর্গাপুরের পরেশনাথ। সেই স্বপ্ন তো পূরণ হয়ইনি। পাহাড়ের কোলে হারিয়ে গিয়েছেন চিরতরে।
সর্বোচ্চ শৃঙ্গে বাড়তেই থাকে মৃত্যুমিছিল। এভারেস্টের পথেই মৃত্যু হয় সুভাষ পাল ও কলকাতা পুলিশের অফিসার গৌতম ঘোষেরও। ৮,৯৬৫ মিটারের উপর ক্যাম্প ফোর থেকে উদ্ধার হয় সুভাষের দেহ।
এভারেস্ট জয়ের আগেই পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন সুনীতা। দেবদূতের মতো উদ্ধার করেন এক বিদেশী পর্বতারোহী। হেলিকপ্টারে করে সুনীতাকে নামিয়ে আনা হয় ক্যাম্প ২-তে। সেখান থেকে লুকলা বিমানবন্দর হয়ে কাঠমাণ্ডুর হাসপাতাল। বেশ কিছুদিন চিকিৎসার পর হুইলচেয়ারে করে স্বামীর সঙ্গে ঘরে ফেরেন সুনীতা।
কিন্তু ধৌলাগিরি অভিযানে গিয়ে আর ফেরেননি পর্বতারোহী রাজীব ভট্টাচার্য। ফিরল তাঁর কফিনবন্দী দেহ।
শুধু হতাশা নয়, এভারেস্ট জয় করে ফেরা মলয় মুখোপাধ্যায়, সত্যরূপ সিদ্ধান্ত, রমেশ রায়, রুদ্রপ্রসাদ হালদার ও দেবরাজ দত্তকে নিয়ে উচ্ছ্বাস, উন্মাদনা। দার্জিলিংয়ের কলেজ পড়ুয়া ত্রিশালা গুরুং ও সুলক্ষণা তামাং-ও ছুঁয়ে ফেলেছেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্থান।