১) সন্দেহে রক্ষা নেই, আতঙ্ক বিদ্রোহেরও
কেটে গিয়েছে পাক্কা তিন দিন। অথচ ফরমান জারি করেও সর্ষের মধ্যে থাকা ভূতের নাগাল পাচ্ছে না শাসক দল। বরং শাসকের ঘরে আতঙ্ক বাড়িয়ে দানা বাঁধছে বিদ্রোহের ইঙ্গিত!
গত ৫ মে শেষ দফায় ভোট মিটেছে পূর্ব মেদিনীপুরে। সে দিন হলদিয়ায় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের ঠিকাকর্মীরা তাঁদের ভোটটা তৃণমূলকেই দিয়েছেন কি না, তা যাচাই করতে রীতিমতো নোটিস ঝুলিয়ে আসরে নেমেছেন দলীয় নেতৃত্ব। সত্যিই ওই কর্মীরা বুথে গিয়ে জোড়াফুলের প্রতীকে বোতাম টিপেছেন কি না, বুথ স্তরের তৃণমূল নেতৃত্বের কাছ থেকে সেই ব্যাপারে সিলমোহর-সহ চিঠি আনতে বলা হয়েছে। ৬ মে ওই নোটিস ঝোলানোর পরে তিন দিন পেরিয়ে গেলেও সাড়া মেলেনি এক জনের কাছ থেকেও!
advertisement
২)বিএসএফ ‘শ্লীলতাহানি’ করায় ছাত্রী আত্মঘাতী
তল্লাশির নামে বিএসএফের এক জওয়ান শ্লীলতাহানি করায় লজ্জা, অপমানে এক কিশোরী আত্মঘাতী হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন তার বাবা-মা। তাঁরা দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি এলাকার পাঞ্জুল অঞ্চলের গোঁসাইপুর সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা। বছর বারোর ওই কিশোরীর মা জানিয়েছেন, শনিবার সে কাছেই লস্করপুরে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়েছিল। বেলা ১১টা নাগাদ আল রাস্তা ধরে সাইকেল নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। তখনই এক জওয়ান তার পথ আটকায়। তল্লাশির নামে তখনই তার শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ছাত্রীর মা’র কাছে খবর যায়। তিনি ছুটে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে আনেন। এরপর বাড়ি ফিরে ওই ছাত্রী ঘরে ঢুকে গলায় দড়ি দেয় বলে বাড়ির লোকের দাবি। শব্দ শুনে তৎক্ষণাৎ দরজা ভেঙে তাকে নামানো হয়। আত্মীয়রা জানান, তখনও দেহে প্রাণ ছিল। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় প্রথমে তাকে হিলি গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রেফার করা হয় বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। রাত ১১টা নাগাদ বালুরঘাট হাসপাতালে ছাত্রীটি মারা যায়।
৩)প্রবীণদের দিনে ছ’ওভারে কেকেহার
শাহরুখ খানের রবিবার সেই চেন্নাই থেকে এত দূর ছুটে আসাটা পুরো জলে গেল। নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের শহরে বলিউড বাদশা গিয়েছিলেন স্পনসরশিপের দায়ভার মেটাতে। দ্রুত সব শেষ করে কলকাতার ফ্লাইট ধরেছিলেন প্রিয় টিমের জয় দেখবেন বলে। প্লে অফ সরণিতে টিমের প্রবল ভাবে ঢুকে পড়া দেখবেন বলে। কিন্তু কোথায় কী। সবচেয়ে বড় কথা, তিনি গেলেন কোথায়?
ইডেনে এলে ক্লাবহাউসের ঠিক ডান দিকের ব্লকের কর্পোরেট বক্স বারান্দায় তাঁকে সাধারণত দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কিন্তু রাত সওয়া এগারোটা নাগাদ সে দিকে প্রবল অনুসন্ধান চালিয়ে তো কোথাও সাদা টি শার্টকে পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ তিনি এসেছেন। এত রাতেও তাঁর সিনেমার সব সুপারহিট গান বাজছে। ইডেন দর্শককে ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়ার’ অমর টিউন শোনাচ্ছে ডিজে। পরের পর উইকেট যাচ্ছে। এই যেমন এখন অ্যারন ফিঞ্চ গেলেন। গুজরাতের পাঁচ নম্বর উইকেট। তিনি, শাহরুখ খান এখন দেখা দেবেন না তো আর কখন দেবেন?
৪)নিহত ছাত্র, কাঠগড়ায় বিধায়ক-পুত্র
নীতীশ কাটারা। জেসিকা লাল। নয়না সাহনি। রাজনৈতিক নেতা বা তাদের নিকটাত্মীয়দের হাতে খুন হওয়ার তালিকায় জুড়ে গেল কুড়ি বছর বয়সী আদিত্য সচদেবের নাম।
গয়ার রাজপথে কাল রাতে টক্কর দিয়ে চলছিল দু’টি গাড়ি। একটিতে ছিলেন উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী আদিত্য। আর অন্যটিতে জেডিইউ বিধায়ক মনোরমা দেবীর ছেলে রকি যাদব। রকির সঙ্গে গাড়িতে ছিল তার মায়ের এক দেহরক্ষীও।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত রাতে বুদ্ধগয়ায় একটি জন্মদিনের পার্টির পরে এক বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন আদিত্য। ওই সময় রকির গাড়ি ওই রাস্তায় ঢুকে পড়ে। নতুন ল্যান্ডরোভার গাড়ি নিয়ে সামনে এগোনোর জন্য বার বার হর্ন বাজাতে থাকে রকি। এক লেনের রাস্তায় পাশে সরতে কিছুটা দেরি হয়েছিল আদিত্যর। এতেই বিগড়ে যায় বিধায়ক-পুত্রের মেজাজ।