মুখ্যমন্ত্রী।
আইনের শাসন থেকে কর্মসংস্থান। শিক্ষায় রাজনীতির দাপট কমানো থেকে নাগরিক পরিষেবা। কোথাও গিয়ে গ্রাম আর শহুরে মানুষের আশা-আকাঙ্খা এক হয়ে যায়। সেই চাহিদাটুকু নিশ্চিত করাই বোধহয় দ্বিতীয় ইনিংসে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে মূল চ্যালেঞ্জ। সমস্যা অনেক। চাহিদাও কম নেই। শপথ গ্রহণের আগেই তৈরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘টু ডু লিস্ট ৷’
কর্মসংস্থান বাড়ানো
advertisement
শিক্ষায় নৈরাজ্যে বন্ধ
সামাজিক সুরক্ষার বিস্তার
নাগরিক পরিষেবায় উন্নতি
সিন্ডিকেট রাজে রাশ
দুর্নীতি রোধে পদক্ষেপ
বিনিয়োগ বাড়ানো
উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা
সবকিছু বদলে দেওয়ার মতো কোনও জাদুকাঠি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে নেই। তবুও শুরু শপথ নেওয়ার আগেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে রাশ টানার চেষ্টা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজয় মিছিল হয়নি। কর্মীদেরও সংযত থাকতে কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা। একইসঙ্গে দলের অন্দর সামলানোর গুরু দায়িত্বও তাঁরই কাঁধে ৷
চাকরি চাই, এই দাবি থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসে ভোট দিয়েছেন তরুণ ভোটাররা। কীভাবে হবে চাকরি? বিনিয়োগ টানা আর সরকারের সম্পদ বৃদ্ধি ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই। শিল্পের সঙ্গেই জড়িত জমির প্রশ্ন। জমির ঊর্দ্ধসীমা বাড়ানো বা কিছু শিল্পকে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার দাবি দীর্ঘদিন ধরেই তুলছে শিল্পমহল। জমির প্রশ্নে তাঁর অবস্থান অনেক আগেই স্পষ্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন কোনও পথ তিনি পারবেন কি?
কৃষক, শ্রমিকদের আয় বাড়াতে প্রয়োজন বহুমুখী পরিকল্পনা। ন্যায্য মূল্যে ফসল কিনতে বা সফল সংরক্ষণে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি ছিল ইস্তেহারে। হিমঘরগুলির আধুনিকীকরণ, কিষাণ মার্কেটের হাল ফেরাতেও নতুন চিন্তা আমদানির চ্যালেঞ্জ মুখ্যমন্ত্রীর সামনে।
এরপরেও থাকছে সিন্ডিকেট রাজ, দলবাজি, দুর্নীতি রোধের মতো কঠিন চ্যালেঞ্জ। কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কে সমতার ব্যাপারেও আরও বেশি সতর্ক হতে হবে তাঁকে। চাণক্য নীতি বলছে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হলেই শাসকের অর্ধেক সমস্যা মিটে যায়। সেটা মাথায় রেখেই দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।