#কলকাতা: ২৪ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। গতকালের সেই হাহাকার হয়ত নেই। যেন শ্মশানের নিস্তব্ধতা। আত্মীয়পরিজনের ভিড়। অ্যাম্বুলেন্স এলেই ঝাঁপিয়ে পড়া। নিখোঁজের খোঁজে ছোটাছুটি। আহতদের শূন্য দৃষ্টিতে থমথমে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। গণেশ টকিজের সামনেই থাকেন। এরকম যে হতে পারে এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না গোপাল কনুই। তবু ঘটনা ঘটেছে। চোখের সামনেই ভেঙে পড়ে বিবেকানন্দ ফ্লাইওভারের একাংশ। মাথায়, বুকে আঘাত লাগে। তারপর আর কিছু মনে করতে পারছেন না। চিকিৎসার পর এখন কিছুটা সুস্থ। কিন্তু তাড়া করছে আতঙ্ক। একই অবস্থা বাকিদেরও। সকাল থেকেই জখমদের সিটি স্ক্যান চলছে ক্যাজুয়ালটি বিভাগে। কারও পরিজন ভরতি অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে। কেউ বা ক্রিটিকাল কেয়ারে। মারোয়ারি রিলিফ সোসাইটি থেকেও জখমদের নিয়ে আসা হয়েছে মেডিক্যাল কলেজে। আরজিকর হাসপাতালেও ভর্তি রয়েছেন কয়েকজন। দুশ্চিন্তায় নিখোঁজদের আত্মীয়রা। পরিজনের খোঁজে ছুটে বেড়াচ্ছেন এই হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে। ডায়মন্ডহারবার থেকে ছুটে এসেছেন নিখোঁজ কৌসরের আত্মীয়রা। বৃহস্পতিবার দিনভর কেটেছে উৎকণ্ঠায়। উত্তরপ্রদেশে পাত্রী দেখে ফেরার পথে হাওড়ায় নেমে বাবাকে ফোনও করেছিলেন। কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হল না তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্মী নির্মল কুমারের। কেউ ফিরে পেয়েছেন। কেউ এখনও পাননি। আর কেউ হয়ত কোনও দিনই ফিরে পাবেন না প্রিয়জনকে।