মোষ চোর সন্দেহে কাউকে এভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলা যায়! টাকা আদায় করা যায় তাঁর পরিবারের থেকে! ডায়মন্ডহারবারের ছাত্র খুনকে কেন্দ্র করে প্রথম থেকেই এরকম একাধিক প্রশ্ন উঠছে।
ছাত্র খুনে মূল অভিযুক্ত তাপস মল্লিক তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। নিহত কৌশিক পুরকায়েত পুজো উপলক্ষে যে আত্মীয়ের বাড়ি এসেছিলেন, তাদের সঙ্গে তাপসের পুরনো শত্রুতা ছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, বছরখানেক আগে বিবাদের জেরে মারপিটও হয় দু’পক্ষের।
advertisement
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, বদলা নেওয়ার উদ্দেশ্যে ছক কষে খুন করা হয়েছে কৌশিককে। মোষ খোঁজার সময় তাঁকে আগেই দেখেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু, তখন কৌশিককে মারধর করা হয়নি। কিন্তু পরে কী করে কৌশিকের উপর সন্দেহ গিয়ে পড়ল, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ৷
পেশায় ভ্যানচালক তাপসের কাছ থেকে এই প্রশ্নের জবাব মিলতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। ইতিমধ্যে রাজনীতির রং লেগেছে ছাত্রের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে। তবে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে দলের কেউ যুক্ত নয়। সিপিএম অপপ্রচার করছে।
মোষ চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুন করা হল এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রকে ৷ মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার ডায়মন্ডহারবারে ৷ মৃত ছাত্রের নাম কৌশিক পুরকায়েত ৷
অভিযোগ, সোমবার রাতে ডায়মন্ডহারবারের হরিণডাঙা পঞ্চায়েত এলাকায় কোনও প্রমাণ ছাড়াই মোষ চোর সন্দেহে কৌশিক পুরকায়েত নামে দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করা হয় ৷ মৃত ছাত্রের বাড়ি মন্দিরবাজারের গুমটিতে ৷ দঃ বারাসত কলেজে বাণিজ্য বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল সে ৷ ছুটিতে বাহাদুরপুরে মাসির বাড়িতে ঘুরতে এসেছিলেন তিনি ৷ সোমবারই স্থানীয় এক ব্যক্তির মোষ চুরি যায়। কৌশিককে এলাকায় ঘুরতে দেখে সন্দেহ হয় তাদের। এরপর মোষ চোর সন্দেহে আটকে রেখে চলে মারধর ৷ ছেলেকে বাঁচাতে কৌশিকের মা সেখানে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ৷ আহত কৌশিককে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে সেখানেই ফেলে রেখে দেড় লক্ষ টাকাও চাওয়া হয় ৷ টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিলে ছেড়ে দেওয়া হয় কৌশিককে। এরপর প্রথমে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতাল ও পরে কলকাতার এসএসকেএমে নিয়ে গেলে সেখানেই মৃত্যু হয় কৌশিকের। ঘটনায় ১০ জনের নামে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷
সোমবার দফায় দফায় দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে ডায়মন্ড হারবার থানায় বিক্ষোভ দেখান ছাত্রের পরিজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ অভিযুক্ত দশজনের মধ্যে শৈল বাগ নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ এছাড়া ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে বলে খবর ৷ বাকিদের গ্রেফতারির দাবিতে সন্ধেয় কৌশিকের মৃতদেহ থানায় এনে চলে বিক্ষোভ ৷