গত শনিবার রাতে কালনায় ভবা পাগলার মেলা উপলক্ষে বহু মানুষ আসেন ৷ মেলা উপলক্ষে কালনা ফেরিঘাট ও শান্তিপুরের নৃসিংহপুর ঘাটে তখন প্রায় হাজার পনেরো মানুষের ভিড়। অথচ পাড়াপাড়ের জন্য কালনা ঘাটে ছিল মাত্র ছটি নৌকা ছিল। যার একএকটিতে উঠতে পারেন বড়জোর পঞ্চাশ জন। কিন্তু তার বদলে প্রায় ১৫০ জন নৌকায় উঠে পড়েন ৷ রাত এগারোটা দশে এমনই একটি অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই নৌকা শান্তিপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কালনা ঘাট ছাড়তেই উল্টে যায় নৌকাটি। যাত্রীদের মধ্যে মহিলা ও শিশুর সংখ্যাই বেশি ছিল। অনেকেই সাঁতরে পাড়ে এলেও, খোঁজ মেলেনি বেশ কয়েকজনের।
advertisement
স্থানীয় মানুষের তৎপরতায় প্রায় ৫০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও নিখোঁজ ছিলেন বহুজন ৷ রাতভর শুরু হয়নি উদ্ধারকাজও ৷ নৌকাডুবির জেরে সকাল থেকেই ক্ষোভ বাড়ছিল শান্তিপুরের নৃসিংহপুর ঘাটে। বেলা গড়াতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মানুষ। ঘাটে দাঁড়ানো বেশ কয়েকটি ট্রলার ও নৌকায় আগুন লাগানো হয়। নদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও রানাঘাটের এসডিপিওকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। তারপরই পুলিশকে লক্ষ করে ইটবৃষ্টি শুরু করেন স্থানীয়রা। ইটে ঘায়ে মাথা ফাটে শান্তিপুর থানার এএসআই ও এক কনস্টেবলের। পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশও। ক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেটও ব্যবহার করা হয় ৷