ভোটের শুরুতে অভিযোগের-অস্ত্রই ছিল না। কিন্তু হঠাৎই সারদার দোসর হয়ে দেখা দিয়েছিল নারদ। তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়ক-নেতা-মন্ত্রীদের টাকা নেওয়ার গরমাগরম স্টিং অপারেশন। যা তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। ঘুষকাণ্ডে বিরোধীদের আক্রমণ তখন যেন রুটিন-বিষয়।
advertisement
নারদের রেশ কাটতে না কাটতেই পোস্তার উড়ালপুল বিপর্যয়। দিনের ব্যস্ত সময় মহানগরীর মাথার উপর ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ বিবেকানন্দ উড়ালপুল। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে তখন শোনা যাচ্ছে নিরীহ মানুষের আর্তনাদ। বাম আমলে কাজ শুরু হওয়া উড়ালপুল দুর্ঘটনার জন্যেও তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছিলেন বিরোধীরা। ভেঙে পড়া উড়ালপুলকে হাতিয়ার করেই শুরু হয়ে গিয়েছিল ঘুঁটি সাজানো।
বাংলার ভোটযুদ্ধে শাসকের বিরুদ্ধে দুর্নীতিকেই মূল অস্ত্র করেছিল বিরোধীরা। বাম-কংগ্রেস-বিজেপির লাগাতার আক্রমণের মোকাবিলায় তৃণমূলের সেনাপতি ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। কার্যত একার হাতেই বিরোধীদের মোকাবিলা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী।
নারদকাণ্ডে শুরু থেকেই অস্বীকারের কৌশল নিয়েছিল তৃণমূল। তবে ভারসাম্য বজায় রাখতে দলীয় তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
শহুরে ভোটারদের বার্তা দিতে নারদ-অভিযুক্ত প্রার্থীদের বদলের প্রসঙ্গে উষ্কে দিয়েছিলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো।
নারদ-অভিযুক্তদের সঙ্গে দলের দূরত্ব তৈরি করতেও কৌশলী পদক্ষেপ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সারদা-নারদ-উড়ালপুল বিপর্যয়ের মোকাবিলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একের পর এক মাস্টারস্ট্রোকই ভোঁতা করে দিয়েছে বিরোধীদের দুর্নীতি অস্ত্র। যার ফলে ফের নবান্নমুখী হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাসিন্দা।