উত্তরপ্রদেশে ঐতিহাসিক ফল বিজেপির। এগিয়ে থাকার নিরিখে ম্যাজিক ফিগার পার করল গেরুয়াশিবির। ধুয়ে-মুছে সাফ বিরোধীরা। মুখ থুবড়ে পড়ল রাহুল-অখিলেশ জোট। প্রায় সব বুথফেরত সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণ করেই উত্তরপ্রদেশে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে বিজেপি। কংগ্রেস ও সপা-র জোট এখনও পর্যন্ত তিন অঙ্কও ছুঁতে পারেনি। তিরিশের ঘরে ঘোরাফেরা করছেন মায়াবতীও। ১৯৯১ সালে ২২১টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। তখন মুখ্যমন্ত্রী হন কল্যাণ সিং। কিন্তু, এবার সেই ফলাফলকেও পিছনে ফেলে দেওয়ার সম্ভাবনা। তিনশোর গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে বিজেপি।
advertisement
বিজেপির এই ঐতিহাসিক ফলাফল কীভাবে? সপা-র যাদব ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসিয়েছে বিজেপি। ৩৩টি যাদব অধ্যুষিত আসনে এগিয়ে বিজেপি। দলিত ভোটব্যাঙ্কও দখল করেছে বিজেপি। দলিত অধ্যুষিত ৬৪টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। সংঘ্যালঘু অধ্যুষিত ৪২টি আসনে এগিয়ে গেরুয়া শিবির।
উত্তরপ্রদেশে মোট চারশো তিন আসনে একের পর এক জায়গা থেকে এগিয়ে থাকার খবর মিলতেই হোলির আগে হোলি বিজেপি শিবিরে। সময় যত গড়িয়েছে ততই উৎসাহে ভাটা দেখা গিয়েছে বিরোধী শিবিরের মধ্যে।
২০১৮ সালে দেশএর ৯ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন ৷ রাজস্থান, গুজরাট, নাগাল্যান্ড, কর্ণাটক, মেঘালয়, হিমাচল, ত্রিপুরা, মিজোরামে পরের বছর হবে বিধাসভা নির্বাচন ৷ মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও গুজরাটের মতো তিনটি বড় রাজ্যে ইতিমধ্যেই বিজেপি সরকার ৷ তাই এই তিন রাজ্যে অন্য কোনও দলের জায়গা করে নেওয়া বেশ কঠিন ৷
অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, উত্তরপ্রদেশে, মণিপুর, গোয়া, উত্তরাখন্ডে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র জয়ের কারণ হল, আমজনতার মনোভাবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নির্বাচনী প্রচার ৷ বিধানসভা নির্বাচনকে খুবই গুরুত্বপূর্ণভাবে নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ আর সেই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখেই নির্বাচনের সময় প্রচারে নেমেছিলেন মোদি ৷ একদিকে আমজনতার প্রতি নজর, কালো টাকার দুর্নীতি, ডিজিটাল ইন্ডিয়া, অন্যদিকে হিন্দুত্বের ঝান্ডা ! এই সবকেই ট্রামকার্ড বানিয়ে ২০১৯-এ লোকসভাতেও লড়বে বিজেপি ৷ তবে লোকসভায় টিকে থাকতে বিরোধিরা কী পদক্ষেপ নেবে তা তো সময়ই বলবে ৷