ভোট যত এড়িয়েছে, ততই বিভ্রান্তি বেড়েছে রাজ্য বিজেপিতে। ফল বেরোল। আশা ফুরোল। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঢেলে সাহায্য করলেও রাজ্যে হাত খালিই থাকল গেরুয়া শিবিরের।
দিল্লিতে ফুটেজ দেখিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন। একের পর এক অভিযোগে আক্রমণ ৷ নারদ হুলে বিঁধবে তৃণমূল। চেষ্টার কোনও কসুর করেনি বিজেপি।
নারদা থেকে সারদা হয়ে রাজ্যে অনুউন্নয়নের অভিযোগ। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও পুরোদমে মাঠে নামানো হয়েছিল। সেই সূত্রেই এল বসিরহাটের সভায় নজিরবিহীন আক্রমণ।
advertisement
কখনও কালিয়াচকের মতো ঘটনা ঘিরে সাম্প্রদায়িক তাস। কখনও কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে গরুপাচারের জন্য রাহুল সিনহাকে ঘুষের অভিযোগ। রাজনৈতিক লড়াইয়ে কোনও সম্ভাবনাই বাদ দেয়নি বিজেপি। রাহুল সিনহাকে সরিয়ে সংঘ ঘনিষ্ঠ দিলীপ ঘোষকে দায়িত্ব দেওয়া ছিল সেই কৌশলেরই অঙ্গ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে দিলীপের মন্তব্যেও স্পষ্ট হয়েছে সেই মেরুকরণ নীতি ৷
রাজ্যে প্রচারে এসে ১৫০টি আসন পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিলেন অমিত শাহ। নির্বাচনী প্রস্তুতির অঙ্গ হিসাবেও রাজ্যে আরও নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
প্রথমে সিদ্ধার্থনাথ সিং ও পরে কৈলাস বিজয়বর্গিকে মুখ্য পর্যবেক্ষক করে রাজ্যে পাঠানো হয় ৷ সাংগঠনিক নির্বাচনের মাধ্যমে সংগঠনের খোলনোলচে বদলে ফেলা হয় ৷ রাজ্য সভাপতি পদে আনা হয় সংঘ ঘনিষ্ঠ দিলীপ ঘোষকে ৷ প্রাথমিকভাবে প্রচারে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয় ৷ সামনে আনা হয় রূপা ও লকেটের মতো মুখকে ৷ মোদি ছাড়াও মন্ত্রিসভার ১১ জন সদস্যকে নিয়মিত প্রচারে আনা হয় ৷ এত চেষ্টার পরও রাজ্যে হাত খালিই রয়ে গেল গেরুয়া শিবিরের ৷
