আরও পড়ুন: বাংলার মানুষকে অর্থ দিয়ে কেনার চেষ্টা করছে বিজেপি: পার্থ চট্টোপাধ্যায়
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে আদালতে জমি ছাড়েনি বাম ও কংগ্রেস। কিন্তু, ভোটের লড়াইয়ে কী হল? সবুজ সুনামিতে ধুয়েমুছে সাফ বাম ও কংগ্রেস। একসময়ের ঘাঁটিগুলিতেও তলানিতে নেমে গিয়েছে বাম-কংগ্রেস।
রাজ্যজুড়ে ৩২০৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে মাত্র ২৪টি। ৩৩০ পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে বিলকুল শূন্য। ৮২৫ জেলা পরিষদ আসনের মধ্যে সবেধন নীলমণি উত্তর দিনাজপুরের একটি আসন।
advertisement
পঞ্চায়েতে বাম-শক্তি
মোট বাম দখলে
গ্রাম পঞ্চায়েত ৩২০৭ ২৪
পঞ্চায়েত সমিতি ৩৩০ ০
জেলা পরিষদ ৮২৫ ১
সংখ্যাগুলো দেখে কে বলবে মাত্র সাত বছর আগেও রাজ্যে ছিল বামফ্রন্ট সরকার? এক সময়ের লালদুর্গ বলে পরিচিত দুই বর্ধমানে বামেদের হাতে সাকুল্যে একটি মাত্র গ্রাম পঞ্চায়েত। বাম ভোট যে রামের ঘরে গিয়েছে সে তো ভোটের ফলেই তা-ও স্পষ্ট। তবু দায় এড়াতে ব্যস্ত নেতারা।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের রেজাল্ট আউট! প্রায় বিরোধী শূন্য রাজ্য
তবে পঞ্চায়েত ভোটের ফল হয়তো হাসি ফেরাতে পারে প্রকাশ কারাটের। হায়দরাবাদ পার্টি কংগ্রেসে সীতারাম-বিমান-সূর্যকান্তদের জোটের লাইন জিতেছে। কিন্তু সে লাইন বেলাইন পঞ্চায়েত ভোটেও। মালদায় অলিখিত জোট হয়েছিল বাম-কংগ্রেসের। সেখানে কোনও গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি জোটেনি। জেলা পরিষদেও শূন্য। যাদের হাত ধরেছিল বামেরা, সেই কংগ্রেসের হালও একই।
মালদহে হাত-হাতুড়ি
মোট বাম কংগ্রেস
গ্রাম পঞ্চায়েত ১৪৬ ০ ৪
পঞ্চায়েত সমিতি ১৫ ০ ১
জেলা পরিষদ ৩৮ ০ ০
রাজ্যজুড়েই হাল বেহাল কংগ্রেসের। মাত্র ১৬টি পঞ্চায়েত, ১টি পঞ্চায়েত সমিতি, ৪টি জেলা পরিষদ আসন হাতের হাতে।
অধীর-গড় মুর্শিদাবাদে মাত্র দুটি পঞ্চায়েত কংগ্রেসের। উত্তর দিনাজপুরে কংগ্রেসের হাত খালি। মুখ বাঁচাতে সন্ত্রাসের অভিযোগকেই ঢাল করছে কংগ্রেস।
বাম ও কংগ্রেসের যে উৎসাহ আদালতে ছিল তার ছাপ পড়েনি ভোটের ফলে।