এই ফিচার চালু করার পরে ইউজার Shorts দেখার জন্য তাঁদের নিজস্ব সময়সীমা নির্ধারণ করতে পারবেন, যেমন ১৫ মিনিট, ৩০ মিনিট, অথবা ১ ঘণ্টা। একবার এই সীমাটি শেষ হয়ে গেলে YouTube একটি পপ-আপ বিজ্ঞপ্তি প্রদর্শন করবে, যা জানিয়ে দেবে যে, Shorts ফিড সেই দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। তবে, কেউ যদি চান, এই অ্যালার্ট ক্যানসেল করে আবার দেখা চালিয়ে যেতে পারেন। এই ফিচার কোনও কিছুতেই তাই বাধ্য করে না, বরং স্ক্রিন টাইম সচেতনতা বাড়ানোর জন্য একটি সুযোগ প্রদান করে।
advertisement
এই ফিচার বর্তমানে YouTube মোবাইল অ্যাপে চালু হচ্ছে এবং আগামী সপ্তাহগুলিতে বিশ্বব্যাপী সমস্ত ইউজারের জন্য উপলব্ধ হবে। বর্তমানে এই ফিচার পেরেন্টস কন্ট্রোলের সঙ্গে লিঙ্ক করা নেই, তাই অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করতে পারবেন না। তবে, ইউটিউব জানিয়েছে যে, বছরের শেষ নাগাদ এই ফিচার পারিবারিক অ্যাকাউন্টগুলির জন্যও উপলব্ধ হবে, যা শিশুদের সীমা অতিক্রম করার পরে ভিডিও দেখা থেকে বিরত রাখবে।
আরও পড়ুন- স্বামীজিকে জানা আরও সহজ, নয়া উদ্যোগ জেলায়! বর্ধমান বেড়াতে গেলে মিস করবেন না
আজকাল, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলিকে ডুমস্ক্রোলিংয়ের ক্রমবর্ধমান অভ্যাসের জন্য দায়ী করা হয়, যার অর্থ ক্রমাগত এবং অবিরাম কনটেন্ট দেখার অভ্যাস। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, এটি উদ্বেগ, মনোযোগের অভাব এবং বর্ধিত চাপের কারণ হয়। ইউটিউব পূর্বে ডিজিটাল সুস্থতার উদ্যোগগুলিতে কাজ করেছে, যেমন, টেক আ ব্রেক রিমাইন্ডার, যা ইউজারদের প্রতি ১৫, ৩০, ৬০, অথবা ৯০ মিনিটে বিরতি নেওয়ার পরামর্শ দেয় এবং বেডটাইম রিমাইন্ডার, যা ঘুমানোর আগে ফোন বন্ধ করার কথা মনে করিয়ে দেয়।
নতুন শর্টস টাইমার ফিচার বিশেষভাবে সেই অঞ্চলকে লক্ষ্য করে কাজ করবে যেখানে লোকেরা সবচেয়ে বেশি সময় নষ্ট করে- শর্টস দেখা! এখন দেখার বিষয় হল ইউজাররা এই রিমাইন্ডারটিকে গুরুত্ব সহকারে নেবেন না কি কেবল সোয়াইপ করে এগিয়ে যাবেন!
