গত বছরেই MT 15 বাইকটির দ্বিতীয় প্রজন্মের মডেল লঞ্চ করা হয়েছিল। যার মূল্য ১.৬৪ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম) থেকে শুরু। কিন্তু এ-বারের মডেলটি দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিএস-৬ নীতির দ্বিতীয় পর্যায় মেনে আসতে চলেছে। যা চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকেই গোটা দেশে উপলব্ধ হতে চলেছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, Yamaha কোম্পানির নতুন ২টি বাইকের সমস্ত খুঁটিনাটি।
advertisement
আরও পড়ুন- ৩৬ লাখ ভারতীয়ের হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ! এই ভুলগুলি আপনি করেননি তো
সম্প্রতি হন্ডা (Honda) দেশের প্রথম গাড়ি নির্মাতা হিসাবে তাদের বেস্ট সেলিং স্কুটার Activa 6G-এ উন্নত ফিচার্স যুক্ত করে, নতুন নির্গমন বিধি মেনে লঞ্চ করেছে। কিন্তু, দ্বিতীয় পর্যায়ের BS6 আপডেট ছাড়া MT15 V2-তে তেমন কোনও পরিবর্তন থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। ইঞ্জিন আপগ্রেডের কারণে দাম সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
নেকেড স্ট্রিটফাইটারটিতে রয়েছে একটি ১৫৫ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার লিক্যুইড কুল্ড ভিভিএ ইঞ্জিন। যা থেকে সর্বোচ্চ ১৮.১ বিএইচপি শক্তি এবং ১৪.১ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। পাওয়ারট্রেনের সঙ্গে সংযুক্ত একটি সিক্স স্পিড ট্রান্সমিশন। MT15 V2-র তালিকায় রয়েছে ইউএসডি ফ্রন্ট ফর্ক, এলইডি লাইটিং, একটি ডিজিটাল ক্লাস্টার, ডুয়েল চ্যানেল এবিএস সিস্টেম-সহ আরও অন্যান্য ফিচার।
অন্য দিকে, নতুন ভার্সনে হাজির হতে চলা Yamaha FZ-X-এর হেড ল্যাম্পের সঙ্গে একটি মেটাল ফ্রেম সংযুক্ত থাকবে। RE Himalayan-এর অনুরূপ ফুয়েল ট্যাঙ্ক, নতুন উইন্ডস্ক্রিন, এবং নয়া ফ্রন্ট ফেন্ডার দেখা যাবে। আগের মতোই এতে ১৪৯ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন থাকবে। যা থেকে সর্বোচ্চ ১২.২ বিএইচপি শক্তি এবং ১৩.৩ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে।
ইঞ্জিনের সঙ্গে যুক্ত থাকবে ফাইভ স্পিড ট্রান্সমিশন। বাইকটির ফিচারে তেমন কোনও পরিবর্তন ঘটানো হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি-সহ ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল, টিউবলেস টায়ারের ব্যবহার করা হতে পারে। উল্লেখযোগ্য ফিচার হিসাবে যুক্ত হতে পারে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস।
আরও পড়ুন- ডিজিটাল ইন্ডিয়ার প্রতি দায়বদ্ধতা! এবারের বাজেট কীভাবে প্রভাবিত করবে দেশকে!
এ ছাড়া সামনে ও পিছনের দিকে গোল্ডেন কালার বা সোনালি রঙের অ্যালয় হুইল দেখা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে Yamaha FZ-X -এর এক্স-শো-রুম মূল্য ১.৩৬ লক্ষ টাকা। নয়া সংস্করণের দাম ৫,০০০ টাকা বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।