গতকাল আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এই সংক্রান্ত একটি ঘোষণা করা হয়। তবে, কী ভাবে Xiaomi এই তালিকায় ঢুকল, সে বিষয়ে সে ভাবে কিছু জানায়নি মন্ত্রক। এই সংস্থা সাধারণত কনজিউমার প্রোডাক্ট বিক্রি করে। তবে, তাদের কথা, কমিউনিস্ট চাইনিজ মিলিটারি কোম্পানির সঙ্গে কাজ করার প্রমাণ মিলেছে।
এদিকে, নিউজ ১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে Xiaomi-র মুখপাত্র জানিয়েছেন, ব্যবসার ক্ষেত্রে সমস্ত আইন-কানুন মেনে কাজ করে তাঁদের সংস্থা এবং আইনসংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সম্মতি মেনে পদক্ষেপ করা হয়। তিনি বলেন, Xiaomi মানুষের কমার্শিয়াল ইউজের জন্য বিভিন্ন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করে। এই কোম্পানি কোনও ভাবেই চাইনিজ মিলিটারির দ্বারা প্রভাবিত নয়, চালিত নয় বা তাদের মালিকাধীন নয়। এবং অবশ্যই কমিউনিস্ট চাইনিজ মিলিটারি কোম্পানির হয়ে এটি কাজ করে না। তিনি জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই সংস্থা শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থে ও লভ্য়াংশ রক্ষার স্বার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।
advertisement
সংস্থার মুখপাত্র আরও জানান, Xiaomi এই বিষয়টি নিয়ে ও এর প্রভাব নিয়ে পর্যালোচনা করছে। শেষ পর্যন্ত সংস্থা ঠিক কী সিদ্ধান্ত নিল, তা পরে জানানো হবে।
সংবাদ সংস্থা Reuters-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছর ১১ নভেম্বরের মধ্যে এই ব্ল্যাকলিস্টেড কোম্পানিগুলিতে যাদের শেয়ার আছে, তাদের তা তুলে নিতে হতে পারে। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্প (Donald Trump) গত বছর নভেম্বর মাসেই এই নথিতে সই করেন। এর আগে Huawei ও চিপ প্রস্তুতকারক সংস্থা SMIC-কেও ব্ল্যাকলিস্টেড করেছিল আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
এদিকে, এটা এখনও পরিষ্কার নয়, Xiaomi-র আমেরিকায় ব্যবসার পরিস্থিতি আগামী দিনে কী হতে চলেছে। কারণ Qualcomm-এর মতো আমেরিকার বেশ কয়েকটি কোম্পানির Xiaomi-তে শেয়ার রয়েছে। তারা চলতি বছর নভেম্বরের মধ্যে পুরো বিষয়টি গুটিয়ে নিতে পারে কি না সেটাও এখন দেখার!
