অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক রিপোর্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী প্রায় ৪,৮০০টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের নেটওয়ার্ক ছিল।
আরও পড়ুন Safe Smart Phone: এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে সুরক্ষিত স্মার্টফোন কোনগুলো জানেন?
ঘটনাক্রমে, মেটা প্ল্যাটফর্ম প্রকাশ্যে সেই অ্যাকাউন্টের লিঙ্ক প্রকাশ করেনি এবং চিনা সরকারের কাছে এই বিষয়ে অফিসিয়ালি কিছু জানায়নি। ফেসবুক নিজে থেকেই বন্ধ করে দিয়েছে সেই হাজার হাজার ভুয়ো অ্যাকাউন্ট। এই সকল ফেসবুক অ্যাকাউন্টের প্রধান লক্ষ্য ছিল গুজব এবং ফেক নিউজ ছড়িয়ে দেওয়া।
advertisement
কীভাবে এই অ্যাকাউন্ট কাজ করে –
অ্যাকাউন্টগুলি জাল ছবি, নাম এবং জায়গার নাম ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। যাতে প্রতিদিনের আমেরিকান ফেসবুক ব্যবহারকারীরা অ্যাকাউন্টগুলি নিজেদের রাজনৈতিক বিষয়ে মতামত প্রকাশ করে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই অ্যাকাউন্টগুলির পোস্টগুলি শেয়ার করা হয়েছে X হ্যান্ডেল থেকে, যার মধ্যে রয়েছে রাজনীতিবিদদের দ্বারা তৈরি করা সংবাদ আউটলেট এবং অন্যান্য প্রোফাইল। এর উদ্দেশ্য ছিল মূলত পক্ষপাতমূলক বিভাজনকে অতিরঞ্জিত করা।
আরও পড়ুনসাবধান! ফোন এবং ল্যাপটপের ব্যক্তিগত ডেটা হারানোর ঝুঁকি রয়েছে, কীভাবে সামলাবেন জানুন
অ্যাকাউন্টগুলি ভারতের নির্বাচনের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে –
এই অ্যাকাউন্টগুলির শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিপদ নয়। এটি ভারত সহ অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও বিপদ। এই চিহ্নিত ফেসবুক অ্যাকাউন্টগুলি দ্বারা সৃষ্টি করা পোস্ট শুধুমাত্র সেইসব দেশের জন্য তৈরি করা হয়েছে, যেসব দেশে আগামী বছর জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। সেসব দেশে অনলাইনে অপপ্রচার করাই এর প্রধান লক্ষ্য। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও অন্যান্য দেশ।
মেটার প্ল্যাটফর্মগুলিতে অপ্রমাণিত আচরণের তদন্তের নেতৃত্ব দেওয়া বেন নিম্মো জানিয়েছেন যে, “এই অ্যাকাউন্টগুলি এখনও ফলোয়ার তৈরির জন্য সংগ্রাম করে চলেছে। কিন্তু, এই সকল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সকলের জন্য একটি সতর্কতা। কারণ এর উদ্দেশ্য আগামী বছরের নির্বাচনের আগে ইন্টারনেট জুড়ে অপপ্রচার চালানো। তাই এই সকল প্রচার থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।”
এই সপ্তাহের শুরুতে মেটাও একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী ইরান, চিন সহ বিদেশি প্রতিপক্ষের ঝুঁকি রয়েছে। কারণ রাশিয়া সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে পারে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাশিয়ার সাম্প্রতিক ভুল তথ্য প্রচার যুক্তরাষ্ট্রের দিকে নয় বরং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের দিকে দিক নির্দেশ করেছে। সুতরাং আগামী বছর ভারতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে, এই বিষয়ে বিশেষ ভাবে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F