দিল্লি থেকে দুবাইগামী এক ফ্লাইটে এক অপ্রত্যাশিত মুহূর্তে সামনে আসে এ হেন রেড এনভেলপ সোসাইটি। স্যুট পরা এক ব্যক্তি খুব শান্তভাবে মাঝ আকাশে এক র্যাপ প্রেজেন্ট করেন। বিষয়টাকে ঠিক ফ্লাইট এন্টারটেনমেন্ট বলা যাবে না। এক গোপন রেড এনভেলপ সোসাইটির কথা জানায় যা সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে। ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই ওই ব্যক্তি র্যাপ শেষ করে আর কোনও কথা না বলে বসে পড়েন। বিস্মিত যাত্রীদের একজন তা রেকর্ড করেন এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ক্লিপটি ভাইরাল হয়ে যায়।
advertisement
পরের দিন ভারতের প্রধান বিমানবন্দরগুলোয় এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটে। লাল গাউন পরা মহিলারা বিমানবন্দরের এক্সক্লুসিভ লাউঞ্জে হাজির হন, যা সাধারণত বিজনেস এবং ফার্স্ট ক্লাস যাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। সোজাসুজি তাঁরা নিখুঁত পোশাকে সজ্জিত নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে যান, প্রায় কোনও কথা না বলে সোনা দিয়ে সিল করা লাল খাম হস্তান্তর করেন এবং অদৃশ্য হয়ে যান।
তেমনই ব্যক্তি তাঁর ফ্লাইট ধরার তাড়ায় একটা খাম এক লাউঞ্জের টেবিলে ফেলে গিয়েছিলেন। একজন যাত্রী কৌতূহলী হয়ে এটি খুললে কিউআর কোড-সহ একটি মোটা কার্ড দেখতে পান। কার্ড বের করার সঙ্গে সঙ্গে কিউআর কোডটি অদৃশ্য হয়ে যেতে শুরু করে, কয়েক সেকেন্ডে সম্পূর্ণ মিলিয়ে যায়।
এই ঘটনার সময় একজন পুলিশ অফিসার উপস্থিত ছিলেন এবং পুরো ঘটনাটি রেকর্ড করেছিলেন। ভিডিওটি অজস্র প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। কোনও ব্র্যান্ডের নাম নেই, কোনও নির্দেশ নেই, কোনও প্রেরক নেই! কেবল একটি লাল খাম, একটি সোনালি সিলমোহর এবং অমীমাংসিত রহস্য সামনে পড়ে!
বার্তাবহনকারী মহিলাদের পোশাক, নিখুঁত কাজ দেখে তা কোনও স্টান্ট বলে মনে হয় না। বিষয়টা খুব গোপন কথা জানিয়ে যাওয়ার মতো। তাই বাতাসে নানা জল্পনা ভাসছে। অভিজাতদের গোপন আর্থিক ক্লাব থেকে শুরু করে হারিয়ে যাওয়া ইউরোপীয় শিল্প, ভূগর্ভস্থ গুপ্তধন, বেসরকারি বিনিয়োগ চক্র- উঠে আসছে নানা সম্ভাবনার কথা, তবে কোনটা যে ঠিক, তা নিশ্চিত করে বলার উপায় নেই!
দেখা যাক আদৌ এর রহস্য সমাধান হয় কি না!