যেন মন-প্রাণ আর সুর ঢেলে দিয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর, যা শুনে পরিচালক নিজেকেই জুতো মারতে উদ্যত হয়েছিলেন ! আজও সকলের মনের মণিকোঠায় রয়ে গিয়েছে এই কালজয়ী গান

Last Updated:
Lata Mangeshkar Best Song: সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের সেরা গানগুলির কথা যখন আলোচিত হয়, তখন একটি স্মরণীয় গানের কথা বলতেই হয়। আর সেই স্মরণীয় গানটি হল - ১৯৬৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ক্লাসিক ছবি উয়ো কৌন থি-র এক রোম্যান্টিক কিন্তু বেদনাদায়ক গান।
1/5
সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের সেরা গানগুলির কথা যখন আলোচিত হয়, তখন একটি স্মরণীয় গানের কথা বলতেই হয়। আর সেই স্মরণীয় গানটি হল - ১৯৬৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ক্লাসিক ছবি উয়ো কৌন থি-র এক রোম্যান্টিক কিন্তু বেদনাদায়ক গান। আজও এটি লক্ষ লক্ষ মানুষের পছন্দের গান। কিন্তু গানটির কাজ যখন এগোচ্ছিল, তখন তা একেবারেই না-পসন্দ ছিল পরিচালক রাজ খোসলার। সেই সময় মিউজিক কম্পোজার মদন মোহন অভিনেতা মনোজ কুমারের দ্বারস্থ হন। আসলে এই গানটিকে ছবিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পরিচালককে রাজি করিয়েছিলেন মনোজ কুমারই।
সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের সেরা গানগুলির কথা যখন আলোচিত হয়, তখন একটি স্মরণীয় গানের কথা বলতেই হয়। আর সেই স্মরণীয় গানটি হল - ১৯৬৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ক্লাসিক ছবি উয়ো কৌন থি-র এক রোম্যান্টিক কিন্তু বেদনাদায়ক গান। আজও এটি লক্ষ লক্ষ মানুষের পছন্দের গান। কিন্তু গানটির কাজ যখন এগোচ্ছিল, তখন তা একেবারেই না-পসন্দ ছিল পরিচালক রাজ খোসলার। সেই সময় মিউজিক কম্পোজার মদন মোহন অভিনেতা মনোজ কুমারের দ্বারস্থ হন। আসলে এই গানটিকে ছবিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পরিচালককে রাজি করিয়েছিলেন মনোজ কুমারই।
advertisement
2/5
এরপর যখন আবারও লতা মঙ্গেশকরের গানটি রাজ খোসলা শোনেন, তখন প্রায় নিজেকেই চপেটাঘাত করতে উদ্যত হন তিনি। এই ঘটনাটির উল্লেখ রয়েছে পরিচালকের আত্মজীবনী ‘Raj Khosla: The Authorized Biography’-তে। তাঁর জন্মশতবার্ষিকীর প্রাক্কালে গত ২০ মে আত্মপ্রকাশ করেছে এটি। ওই বইয়ে মনোজ কুমারের বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বলেছিলেন যে, “একদিন আমি মদন মোহনের কাছ থেকে কল পেয়েছিলাম। মদন বলেন, ‘খোসলা তো পাগল হয়ে গিয়েছে। আমি একটা গান শোনালাম আর ওর পছন্দ হল না। তুমি এসো আর বিষয়টি দেখে নাও ।”
এরপর যখন আবারও লতা মঙ্গেশকরের গানটি রাজ খোসলা শোনেন, তখন প্রায় নিজেকেই চপেটাঘাত করতে উদ্যত হন তিনি। এই ঘটনাটির উল্লেখ রয়েছে পরিচালকের আত্মজীবনী ‘Raj Khosla: The Authorized Biography’-তে। তাঁর জন্মশতবার্ষিকীর প্রাক্কালে গত ২০ মে আত্মপ্রকাশ করেছে এটি। ওই বইয়ে মনোজ কুমারের বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বলেছিলেন যে, “একদিন আমি মদন মোহনের কাছ থেকে কল পেয়েছিলাম। মদন বলেন, ‘খোসলা তো পাগল হয়ে গিয়েছে। আমি একটা গান শোনালাম আর ওর পছন্দ হল না। তুমি এসো আর বিষয়টি দেখে নাও ।”
advertisement
3/5
ঠান্ডা মাথায় বিষয়টি সামাল দেন মনোজ কুমার: যদিও মনোজ কুমার তখনও গানটি শোনেননি। তাই তিনি এই বিষয়ে বলতে প্রথমে দ্বিধা করেছিলেন। আর সবথেকে বড় কথা হল, ছবিটি ছিল রাজ খোসলার। তাই তিনি এই বিষয়ে প্রযোজক এনএন সিপ্পির সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নেন। এদিকে এনএন সিপ্পিও যদিও সঙ্গীত পরিচালকের সঙ্গে একমত ছিলেন। তখন শ্যুটিংয়ের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি ছিল এবং গানটি তখনও চূড়ান্ত হয়নি। এই পরিস্থিতিতে তাই এনএন সিপ্পিও চেয়েছিলেন যে, মনোজ কুমার রাজ খোসলার সঙ্গে যোগাযোগ করে যেন বিষয়টির সমাধান করেন। এরপর সঙ্গীত পরিচালক যখন মনোজ কুমারকে গানটি শোনালেন, তখন অভিনেতা বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়ে যান।
ঠান্ডা মাথায় বিষয়টি সামাল দেন মনোজ কুমার: যদিও মনোজ কুমার তখনও গানটি শোনেননি। তাই তিনি এই বিষয়ে বলতে প্রথমে দ্বিধা করেছিলেন। আর সবথেকে বড় কথা হল, ছবিটি ছিল রাজ খোসলার। তাই তিনি এই বিষয়ে প্রযোজক এনএন সিপ্পির সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নেন। এদিকে এনএন সিপ্পিও যদিও সঙ্গীত পরিচালকের সঙ্গে একমত ছিলেন। তখন শ্যুটিংয়ের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি ছিল এবং গানটি তখনও চূড়ান্ত হয়নি। এই পরিস্থিতিতে তাই এনএন সিপ্পিও চেয়েছিলেন যে, মনোজ কুমার রাজ খোসলার সঙ্গে যোগাযোগ করে যেন বিষয়টির সমাধান করেন। এরপর সঙ্গীত পরিচালক যখন মনোজ কুমারকে গানটি শোনালেন, তখন অভিনেতা বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়ে যান।
advertisement
4/5
পরিচালকও এমন সুর আগে শোনেননি: গানটি শোনামাত্রই প্রচুর প্রশংসা করেন মনোজ কুমার নিজেই। এই ভেবে অবাকও হন যে, কীভাবে এই গানটিকে প্রত্যাখ্যান করলেন রাজ খোসলা! যেখানে তিনি নিজেই প্লেব্যাক সঙ্গীতশিল্পী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন! এরপর মনোজ কুমারের বারংবার অনুরোধে গানটি আবার শুনতে রাজি হন রাজ খোসলা। কিন্তু শেষে গানটিকে বাজে বলে তকমা দিয়েছিলেন। যদিও আবারও একবার গানটি শোনার পর মত বদলায় চিত্র পরিচালকের। তিনি বিস্মিত হন। আর এ-ও স্বীকার করে নেন যে, এটা তাঁর শোনা সেরা সুরের মধ্যে অন্যতম। যা আগে তিনি কখনওই শোনেননি। Photo Courtesy: Saregama
পরিচালকও এমন সুর আগে শোনেননি: গানটি শোনামাত্রই প্রচুর প্রশংসা করেন মনোজ কুমার নিজেই। এই ভেবে অবাকও হন যে, কীভাবে এই গানটিকে প্রত্যাখ্যান করলেন রাজ খোসলা! যেখানে তিনি নিজেই প্লেব্যাক সঙ্গীতশিল্পী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন! এরপর মনোজ কুমারের বারংবার অনুরোধে গানটি আবার শুনতে রাজি হন রাজ খোসলা। কিন্তু শেষে গানটিকে বাজে বলে তকমা দিয়েছিলেন। যদিও আবারও একবার গানটি শোনার পর মত বদলায় চিত্র পরিচালকের। তিনি বিস্মিত হন। আর এ-ও স্বীকার করে নেন যে, এটা তাঁর শোনা সেরা সুরের মধ্যে অন্যতম। যা আগে তিনি কখনওই শোনেননি। Photo Courtesy: Saregama
advertisement
5/5
সুর দিয়েছিলেন মদন মোহন: রাজ খোসলার বক্তব্য বইয়ের শেষে রয়েছে। তিনি বলেছিলেন যে, কত বড় বোকামি আমি করেছিলাম। মনোজ কুমারের দাবি, “রীতিমতো নিজের জুতো তুলে নিয়ে নিজেকেই মারতে উদ্যত হয়েছিলেন রাজ।” শুধু তা-ই নয়, কিংবদন্তি গায়িকা লতা মঙ্গেশকর নিজেও ‘লগ জা গলে’ গানটিকে তাঁর ৬টি প্রিয় গানের মধ্যে অন্যতম বলে জানিয়েছিলেন। বলাই বাহুল্য, এই গানে মদন মোহন এমন সুর ঢেলে দিয়েছিলেন, যা সোজা গিয়ে অন্তরে প্রবেশ করে। বইয়ে লতা মঙ্গেশকরের বক্তব্যও রাখা হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, “যখন আমরা গানটি রেকর্ড করি, সকলেই আনন্দিত ছিলেন। রাজ খোসলার তো খুবই পছন্দ হয়েছিল। আমরা সন্তুষ্ট ছিলাম। রেকর্ডিং শেষ হতেই মদন ভাইয়া এসে আমায় জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করেন। আর এই গানটি এক ইতিহাস সৃষ্টি করে।”
সুর দিয়েছিলেন মদন মোহন: রাজ খোসলার বক্তব্য বইয়ের শেষে রয়েছে। তিনি বলেছিলেন যে, কত বড় বোকামি আমি করেছিলাম। মনোজ কুমারের দাবি, “রীতিমতো নিজের জুতো তুলে নিয়ে নিজেকেই মারতে উদ্যত হয়েছিলেন রাজ।” শুধু তা-ই নয়, কিংবদন্তি গায়িকা লতা মঙ্গেশকর নিজেও ‘লগ জা গলে’ গানটিকে তাঁর ৬টি প্রিয় গানের মধ্যে অন্যতম বলে জানিয়েছিলেন। বলাই বাহুল্য, এই গানে মদন মোহন এমন সুর ঢেলে দিয়েছিলেন, যা সোজা গিয়ে অন্তরে প্রবেশ করে। বইয়ে লতা মঙ্গেশকরের বক্তব্যও রাখা হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, “যখন আমরা গানটি রেকর্ড করি, সকলেই আনন্দিত ছিলেন। রাজ খোসলার তো খুবই পছন্দ হয়েছিল। আমরা সন্তুষ্ট ছিলাম। রেকর্ডিং শেষ হতেই মদন ভাইয়া এসে আমায় জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করেন। আর এই গানটি এক ইতিহাস সৃষ্টি করে।”
advertisement
advertisement
advertisement