অনেক নামী, দামি ঘড়িতেই সাব-ডায়াল দেখা যায়। ঘড়ির মূল ডায়ালের ভিতরে ছোট মিনি-ডায়াল থাকে। এগুলি অকজিলিয়ারি ডায়াল নামেও পরিচিত। এই সব মিনি ডায়াল কিন্তু শুধুই সৌন্দর্য বর্ধন করে না। বরং এর নির্দিষ্ট কিছু কাজ রয়েছে। দেখে নেওয়া যাক এক নজরে—
ক্রোনোগ্রাফ সাব-ডায়াল:
সাধারণত ক্রোনোগ্রাফ ঘড়িতেই সব থেকে বেশি সাব-ডায়াল দেখা যায়। ক্রোনোগ্রাফ ঘড়িকে এক কথায় স্টপওয়াচ বলা যেতেই পারে। ঘড়ির দু’পাশের পুশার টিপে, ক্রোনোগ্রাফ সেকেন্ডের কাঁটা সক্রিয় করা যায় বা কাজ শেষে বন্ধ করা যায়।
advertisement
আরও পড়ুন- India-র নাম বদলে ‘ভারত’! বড় সমস্যায় পড়বে দেশ! এখনই জেনে নিন
এই সাব-ডায়ালগুলিকে কখনও কখনও ‘রেজিস্টার’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এতে ক্রোনোগ্রাফের সঙ্গে মোট অতিক্রান্ত ঘণ্টা, মিনিটের হদিশ রাখে। অন্য সাব-ডায়ালটি সেকেন্ড পরিমাপ করে। সাব-ডায়ালগুলি সেকেন্ড, মিনিট এবং ঘণ্টা আলাদা ভাবে ভেঙে পরিমাপ করে।
পাওয়ার রিজার্ভ ইন্ডিকেটর সাব-ডায়াল:
কিছু যান্ত্রিক ঘড়ি (স্প্রিং নির্ভর ঘড়ি)-তে থাকা সাব-ডায়াল কাজ করে অন্য ভাবে। এই সাব-ডায়ালগুলি দেখায় যে আর কতটা শক্তি ওই ঘড়িতে সঞ্চিত রয়েছে। এথেকে বোঝা যেতে পারে ঘড়িটি আর কতক্ষণ চলবে। সেই অনুযায়ী দম দিয়ে নিতে হবে।
GMT সাব-ডায়াল:
১৯৫০-এর দশকে দারুন জনপ্রিয় ছিল এই ঘড়ি। এই ঘড়ি দ্বিতীয় ‘টাইম জোন’ সম্পর্কে তথ্য দিতে থাকে। সাধারণত, নিজের দেশের সময়কালের বাইরে দ্বিতীয় ‘টাইম জোন’ সেট করে নেওয়া হয়।
মুন ফেজ সাব-ডায়াল:
এটি অন্য সাব-ডায়ালগুলির মতো নয়। এটি একেবারেই অন্য একটি বিষয়কে তুলে ধরার চেষ্টা করে। মুন ফেজ সাব-ডায়াল একটি বিশেষ অংশের মাধ্যমে চাঁদের একটি ছবি দেখায়। তা থেকেই গণনা করা যায় অমাবস্যা, পূর্ণিমা প্রভৃতি চাঁদের ষোলোটি কলা।
দিন গণনা সাব-ডায়াল:
এটিও একটি জনপ্রিয় সাব-ডায়াল। ঘড়ির ভিতর সপ্তাহের দিন এবং তারিখ গণনা করা হয়। চাঁদের কলার মতোই সপ্তাহের দিনও প্রধান ডায়ালে মধ্যে থাকা একটি অংশ থেকে প্রদর্শিত হয়।