ফোনের ব্যাটারির লাইফ সাইকেল:
প্রযুক্তি তার জাল এমন বিস্তার করে ফেলেছে যে মুঠোবন্দি মোবাইল ফোনটিকে ছাড়া এক মুহূর্ত কাটানো অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। আর এই ফোনটির প্রাণ হল ব্যাটারি। ব্যাটারি অকেজো হলে যাবতীয় কাজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে যে কোনও মানুষের। কোনও মানুষই চান না তাঁর ফোনের ব্যাটারি একেবারে নিঃশেষিত হয়ে যাক। কিন্তু চার্জ সম্পূর্ণ রাখার জন্য বারবার চার্জিং করাও ঠিক নয়। এতে ব্যাটারির আয়ু কমে।
advertisement
লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির আয়ু:
বারবার চার্জে রাখলে ব্যাটারির স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব পড়ে। সাধারণত, একটি আধুনিক ফোনের ব্যাটারির (লিথিয়াম-আয়ন) আয়ু ২ থেকে ৩ বছর থাকে। উৎপাদকরা প্রায় ৩০০ থেকে ৫০০ টি চার্জ সাইকেলের কথা বলে থাকেন। এর পরে, ব্যাটারির ক্ষমতা প্রায় ২০ শতাংশ কমে যেতে পারে।
ব্যাটারির দুর্বলতা:
ফলে বোঝাই যাচ্ছে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর ব্যাটারির জীবনী শক্তি কমে আসবে। যাঁরা সামান্য ব্যবহারের পরই ফোন চার্জে বসাতে শুরু করেন তাঁরা আসলে ভুল করছেন। কারণ, ৫০০ বার পর্যন্ত চার্জ করা হয়ে গেলে ব্যাটারির আয়ু ২০ শতাংশ কমে যেতে পারে।
আরও পড়ুন- চন্দ্রযান ৩-র পথে আরও এক বড় ধাপ! ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন পরীক্ষায় বড় সাফল্য
৪০ থেকে ৮০-র নিয়ম:
ফোন ব্যাটারির সুস্বাস্থ্যের জন্য ৪০-৮০ নিয়ম মেনে চলতে বলা হয়। অপ্টিমাইজ করা ব্যাটারি লাইফের জন্য, কোনও ফোন কখনই ৪০ শতাংশের নিচে বা ৮০ শতাংশের বেশি চার্জ দেওয়া উচিত নয়।
অতিরিক্ত চার্জ ঠিক নয়:
স্মার্টফোনের ব্যাটারি ১০০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ করাও এর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। একটি লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি সম্পূর্ণরূপে চার্জ না করাই ভাল।
আসল চার্জার ব্যবহার:
অনেকেই বিভিন্ন ধরনের চার্জার দিয়ে ফোন চার্জ করেন। এটা ভুল। ফোনটি সব সময় তার নিজস্ব চার্জার দিয়ে চার্জ করা উচিত।