কিন্তু চমকিত হওয়ার পালা যে সবে শুরু, তা তখনও আমাদের জানা বাকি ছিল। জানা গেল তখন, যখন মেটা-মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ এক বিবৃতি ছড়িয়ে দিল বিশ্ব জুড়ে। জানাল যে এবার থেকে ইন্টারনেট না থাকলেও যে কেউ ব্যবহার করতে পারবেন এই প্ল্যাটফর্ম। হোয়াটঅ্যাপের নতুন এই ফিচারকে আমরা চিনলাম প্রক্সি সাপোর্ট নামে। আর সেই থেকে খুলে গেল ব্লক করা ওয়েবসাইটেও নিত্য যাতায়াতের দরজা।
advertisement
আরও পড়ুন: আপনার হাতের স্মার্টফোনে কতগুলো সেন্সর একসঙ্গে কাজ করে জানেন?
সে না হয় হল! বোঝা গেল যে প্রযুক্তির কল্যাণে আদতে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়, তার কাজই আমাদের প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চমক দিয়ে চলা। কিন্তু একটা জায়গায় এসে যে বিস্ময় মিটতে চায় না- যে ওয়েবসাইট ব্লক করে দেওয়া হয়েছে, সেখানে ঢোকা যাচ্ছে কোন পদ্ধতিতে? স্পষ্ট করে বললে প্রক্সি সাপোর্ট সিস্টেম কাজ করছে কীভাবে?
বুঝতে গেলে সবার আগে চোখ রাখতে হবে প্রক্সি শব্দটাতে। সহজ ভাবে বলে এর আভিধানিক অর্থ হল অন্য কারও জায়গা নেওয়া বা অন্য কারও হয়ে কাজ করা। এখানেও এই এক পদ্ধতিতেই যা হওয়ার হচ্ছে। ইউজার আর ইন্টারনেটের মধ্যে প্রক্সি দিচ্ছে এক সার্ভার। এক সেতু, প্রযুক্তির ভাষায় বললে একটা গেটওয়ে তৈরি করে দিচ্ছে। আদতে এই প্রক্সি সাপোর্ট সিস্টেম, যা প্রক্সি সার্ভারের উপরে নির্ভরশীল, তা একটা রাউটারের চেয়ে বেশি কিছু নয়।
এটুকু স্পষ্ট হলেও ধন্দ এখনও বাকি! রাউটার বোঝা গেল, কিন্তু তা কাজ করছে কী করে? প্রক্সি সার্ভার দিয়ে কোনও ব্লক করা ওয়েবসাইটে ঢুকলে সেখানে ইউজারের আইপি অ্যাড্রেস লুকানো থাকে। এমন একটা আইপি অ্যাড্রেস দেখানো হয় যা ব্লক করা হয়নি। অর্থাৎ ইন্টারনেট ধরতে পারে না ইউজারের প্রকৃত পরিচয়। এটাও বোঝা যায় না যে ওয়েবসাইট কোথা থেকে অ্যাকসেস করা হচ্ছে। এভাবেই ব্লক করা ওয়েবসাইটে ঢুকতে বা প্রাইভেট নেটওয়ার্কে সাইবার হানা রুখতে এই প্রযুক্তির ব্যবহার চলে।