ফেসবুকে ইউজারদের এমন অনেক তথ্য দেওয়া থাকে, যা হ্যাক করে সেই ইউজারদের ক্ষতি করা সম্ভব। বর্তমানে এই ধরনের জালিয়াতি ক্রমাগত বেড়ে গিয়েছে। তাই নিজেদের ফেসবুক প্রোফাইল আরও সুরক্ষিত রাখা প্রয়োজন। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেই উপায়।
Two Factor Authentication –
এটি ইউজারদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টকে দ্বিগুণ নিরাপত্তা দিতে সক্ষম। এর মাধ্যমে ইউজারদের অনুমতি ছাড়া অন্য কেউ তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে লগইন করতে পারবেন না। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই Two Factor Authentication সেট করার উপায়।
advertisement
আরও পড়়ুন- WhatsApp-এ এই অপশনটি দেখেছেন! ৯০ শতাংশ মানুষই জানেন না এর প্রকৃত অর্থ
– যদি ফেসবুক প্রোফাইল ডেস্কটপে খোলা থাকে তাহলে স্ক্রিনের উপরের ডানদিকে থাকা প্রোফাইল ফটোতে ক্লিক করতে হবে। মোবাইলে ফেসবুক প্রোফাইল খোলা থাকলে স্ক্রিনের নিচের বাম দিকের তিনটি বিন্দুতে ক্লিক করতে হবে।
– এরপর Settings And Privacy অপশনে যেতে হবে এবং Settings অপশনে ক্লিক করতে হবে।
– এরপর একটি নতুন পেজ ওপেন হবে। সেখানে বাম দিকে থাকা Password And Security অপশনে ক্লিক করতে হবে।
– এরপর আবার Password And Security অপশনে ক্লিক করতে হবে।
– এরপর Two Factor Authentication অপশনে ক্লিক করে নিজেদের অ্যাকাউন্ট সিলেক্ট করতে হবে।
– এরপর নিজেদের পাসওয়ার্ড এন্টার করতে হবে।
– এরপর ইউজাররা নিজেদের পছন্দ মতো Authentication-এর পদ্ধতি বেছে নিতে পারবেন। টেক্সট মেসেজ অথেন্টিকেশন, অথেন্টিকেশন অ্যাপ (গুগল অথেন্টিকেশন) এবং সিকিউরিটি কি-এর মতো বিকল্প রয়েছে। এই তিনটি বিকল্পের মধ্যে টেক্সট মেসেজ অথেন্টিকেশন বেশি সুরক্ষিত বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন- গোপনে কি কারোর সঙ্গে কথা বলছে প্রেমিকা? জানতে পারবেন WhatsApp-র এই ফিচারে
লগইন করার ব্যাকআপ পদ্ধতি –
ইউজাররা Two Factor Authentication চালু করার পরে লগইন করার জন্য একটি ব্যাকআপ পদ্ধতিও বেছে নিতে পারেন। এর জন্য তাঁরা Google Authenticator-এর মতো অ্যাপ ব্যবহার করতে পারে। এই অ্যাপে একটি সিকিউরিটি কি আসবে, সেটি ফেসবুকের লগইন পেজে রেখে নিজেদের অ্যাকাউন্টে লগইন করা যেতে পারে।
নতুন ডিভাইস থেকে লগইন করার জন্য অ্যালার্ট সেট আপ করার উপায় –
যদি একটি নতুন ডিভাইস থেকে ইউজারদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগইন করা হয়, তাহলে সেই ইউজার টেক্সট মেসেজ বা ই-মেলের মাধ্যমে সেই সম্পর্কে সতর্কতা পেতে পারেন। একই সঙ্গে ফেসবুক অ্যাপেও এর নোটিফিকেশন আসবে। যাতে ইউজাররা সেই বিষয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে পারেন।
এর সঙ্গে জেনে রাখা প্রয়োজন যে, ইউজারদের মেল, মেসেজ বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আসা অচেনা লিঙ্কগুলিতে ক্লিক করা উচিত নয়। এই লিঙ্কগুলি ক্ষতিকারক হতে পারে এবং ইউজারদের ফোন বা কম্পিউটারের ডেটার ক্ষতি করতে পারে।
হ্যাকাররা ইউজারদের কাছ থেকে তাঁদের ডেটার অ্যাক্সেস নিতে পারে এবং সেই ডেটার বিনিময়ে ব্ল্যাকমেল করতে পারে।