টিউবলেস টায়ারের যুগে এই প্রশ্ন খুব সাধারণ। কারণ চালকরা বিভ্রান্ত। চিরাচরিত টায়ারকেই সুবিধাজনক মনে করেন অনেকেই। তাঁদের মতে, টিউবলেস টায়ারে মাইলেজে সমস্যা হতে পারে। আবার অনেকে উল্টোটাও মনে করেন। তবে চিন্তা নেই। এখানে দুই ধরণের টায়ারের তুলনামূলক আলোচনা করা হল, যা দেখে চালক নিজের জন্য সেরাটা বেছে নিতে পারবেন সহজেই।
advertisement
টিউবলেস টায়ার: টিউবলেস টায়ারের অনেক সুবিধা রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা এটা হালকা। পাশাপাশি সুরক্ষিত। এর সুবিধাগুলি দেখে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন- প্যাডেল করতে হবে না, এই সাইকেল ছুটবে ২৫ কিমি প্রতি ঘন্টা বেগে!
হালকা এবং সুরক্ষিত – টিউবলেস টায়ার হালকা এবং সুরক্ষিত। পাংচার হলে ভিতরের বাতাস ধীরে ধীরে বের হয়। ফলে ওই অবস্থাতেও চালক বাইক চালাতে পারেন।
ঘর্ষণ কম হয় – টিউবলেস টায়ার এমনভাবে ডিজাইন এবং তৈরি করা হয়েছে যাতে রাস্তার সঙ্গে চাকার গ্রিপ ভাল হয়। ঘষা কম লাগে। এই কারণে মাইলেজও বেশি পাওয়া যায়।
রক্ষণাবেক্ষণ কম – টিউবলেস টায়ারের নিয়মিত দেখভালের প্রয়োজন হয় না বললেই চলে। চালক দীর্ঘসময় ঝঞ্ঝাটমুক্ত থাকতে পারেন।
টিউবওলা টায়ার: টিউবলেস টায়ারের তুলনায় টিউব দেওয়া টায়ারের খরচ কম। তবে যে কোনও সময় পাংচারের ঝুঁকি থাকে। যাইহোক, এর সুবিধা এবং অসুবিধাগুলো দেখে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন- কীভাবে গিজার ব্যবহারে কম বিল আসবে? বড়সড় বিপদ এড়ানো যাবে? গিজার ভাল থাকবে বহুদিন?
কম খরচ – টিউবওলা টায়ারের খরচ কম। দামে সস্তা। তবে দীর্ঘমেয়াদে এর খরচ টিউবলেস টায়ারের তুলনায় বেশি হতে পারে।
পাংচারের ঝুঁকি – যে কোনও সময় পাংচার হতে পারে, বিশেষ করে খারাপ রাস্তায়। পাংচার হলে ভিতরের হাওয়া খুব দ্রুত বেরিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থামানো ছাড়া চালকের আর কোনও উপায় থাকে না।
কিছু বাইকের জন্য উপযুক্ত – বেশ কিছু মডেলের বাইকে টিউবওলা টায়ারেই ভাল পারফরম্যান্স পাওয়া যায়।
পরিশেষে: ভাল মাইলেজ ভাইলে টিউবলেস টায়ার বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন টুঁ হুইলার বিশেষজ্ঞরা। এগুলো দীর্ঘদিন চলে, ঝুঁকি কম, গ্রিপ ভাল। তবে মাথায় রাখতে হবে, কোন টায়ার উপযুক্ত সেটা মোটরসাইকেলের মডেল এবং চালকের রাইডিং স্টাইলের উপর নির্ভর করে। তাই সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়াই ভাল।