হিমাচল প্রদেশের হামিরপুরের বাসিন্দা সঞ্জীব কুমার। নিজের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য তিনি পরিবহণ বিভাগের নিলামে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। আর ১৪ লক্ষ টাকা খরচ করে নিজের নতুন কেনা স্কুটির জন্য HP21C-0001 নম্বর পেয়েছেন। পরিবহণ বিভাগের এই অনলাইন নিলামে অংশ নিয়েছিলেন মাত্র ২ জন বিডার। দ্বিতীয় বিডার ছিলেন সোলান জেলার। তিনি ১৩.৫ লক্ষ টাকা অফার করেছিলেন। কিন্তু পুরো ১৪ লক্ষ টাকা দিয়ে এই বিডিংয়ে জিতে গিয়েছিলেন সঞ্জীব কুমার।
advertisement
আরও পড়ুন- এসি চালালেই ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে? এই মোডে চালান! বিল কমবে, শরীরও ফিট থাকবে!
কিন্তু কে পাবেন এই ১৪ লক্ষ টাকা?
পরিবহণ বিভাগের এই নিলামে ওঠা ১৪ লক্ষ টাকা সরাসরি রাজ্য সরকারের কোষাগারে চলে যাবে। এই নিলাম থেকে সংশ্লিষ্ট বিভাগ কোনও রকম অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় না করেই লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব পেয়ে গিয়েছে। পরিবহণ বিভাগের আধিকারিকরা বলছেন যে, এটিই ছিল এখনও পর্যন্ত রাজ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া দু-চাকার গাড়ির নম্বর প্লেটের সবচেয়ে বড় নিলাম। অন্য কোনও নম্বরে এত পরিমাণ টাকা কখনওই ওঠেনি।
কী বলছেন সঞ্জীব?
নিলামে বিশেষ নম্বর জেতার পর সঞ্জীব কুমার বলেন যে, বিশেষ নম্বর সংগ্রহ করার শখ রয়েছে তাঁর। সেই কারণে নিজের নতুন স্কুটির জন্য একটি ভিআইপি নম্বর নিয়েছেন তিনি। সঙ্গে আরও বলেন যে, শখের কোনও মূল্য হয় না। যদি কেউ বিশেষ কিছু চান, তাহলে এর দামের দিকে তাকালে হবে না। সঞ্জীবের পুত্র দীনেশ কুমার বলেন যে, সম্পূর্ণ এক স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তিনি এই নম্বরটি পেয়েছেন। এই প্রতিযোগিতায় শুধুমাত্র ২ জনই ছিলেন। কিন্তু নিলামের মাধ্যমে এই নম্বর নেওয়া হয়েছে।
হিমাচল প্রদেশের এই নিলাম চর্চার কেন্দ্রে:
গোটা রাজ্যেই এখন আলোচনার শিরোনামে উঠে এসেছে এই নিলাম। শুধু তা-ই নয়, সোশ্যাল মিডিয়াতেও শুরু হয়েছে ব্যাপক চর্চা। কেউ কেউ আবার এই ঘটনাকে টাকার অপচয় বলেও আখ্যাও দিয়েছেন। যদিও নিলামে ব্যবহৃত এই ডিজিটাল প্রক্রিয়ার প্রশংসা করেছেন অনেকেই। আবার বিশেষ নম্বর প্লেটের জন্য এহেন শখের প্রশংসাও করেছেন কেউ কেউ।