ইউপিআই এবং নেট ব্যাঙ্কিংয়ের পর স্মার্টফোনে একটি মেসেজ আসে। তাড়াহুড়োয় সেটা ডিলিট করলে চলবে না। এই মেসেজে পিপিবিএল নম্বর রয়েছে। টাকা ফেরত পেতে এই নম্বরটা প্রয়োজন।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নির্দেশিকায় কী জানানো হয়েছে: আরবিআই-এর জারি করা নতুন নির্দেশিকা অনুসারে, ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ব্যবহারকারীর টাকা ফেরত দেওয়ার দায়িত্ব ব্যাঙ্কের। যদি ব্যাঙ্কগুলি টাকা ফেরত পেতে সাহায্য না করে, তবে গ্রাহকরা bankingombudsman.rbi.org.in-এ অভিযোগ করতে পারেন। যদি ভুল করে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা চলে যায়, তাহলে এর জন্য ব্যাঙ্কে চিঠি দিতে হবে। সেই চিঠিতে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট নম্বর, অ্যাকাউন্টধারীর নাম, যে অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে তা লিখতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন - Facebook-এ এই ভুলগুলি কখনও করেননি তো? সাবধান হন, নয় তো হাজত বাস পাক্কা
এভাবে ব্যাঙ্ক থেকে রিফান্ড নেওয়া যায়:
১। ভুল করে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার হয়ে গেলে প্রথমে ব্যাঙ্কে ফোন করে জানাতে হবে। দিতে হবে সমস্ত তথ্য। সঙ্গে চাই পিপিবিএল নম্বর।
২। এরপর যেতে হবে ব্যাঙ্কে। সেখানে অভিযোগ নথিভুক্ত করাতে হবে।
৩। চিঠি লিখতে হবে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে।
৪। এই চিঠিতে যে অ্যাকাউন্টে টাকা চলে গিয়েছে সেই অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং গ্রাহক যে অ্যাকাউন্ট নম্বরে টাকা পাঠাতে চান তাও জানাতে হবে।
আরও পড়ুন - ইনবক্স মেমোরি ভর্তি হয়ে গিয়েছে? এক ক্লিকেই মুছে ফেলুন Gmail-র সব প্রোমোশনাল মেল, দেখে নিন কীভাবে
৫। সঙ্গে দিতে লেনদেনের রেফারেন্স নম্বর, লেনদেনের তারিখ, টাকার পরিমাণ এবং আইএফএসসি কোড।
ইউপিআই, নেটব্যাঙ্কিং করার সময় এই বিষয়গুলিতে নজর দিতে হবে: ইউপিআই এবং নেটব্যাঙ্কিং করার সময় সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষত ইউপিআই করার সময় গ্রাহককে নিশ্চিত করতে হবে, যাকে টাকা পাঠাচ্ছেন তার নাম এবং অ্যাকাউন্ট নম্বর সঠিক। কিউআর কোডের মাধ্যমে ইউপিআই করার সময় দোকানদারকে তাঁর নাম জিজ্ঞেস করে নিতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে যাকে টাকা পাঠানো হচ্ছে তার অ্যাকাউন্ট নম্বর যেন সঠিক হয়। এই দুটি জিনিস জরুরি। নেট ব্যাঙ্কিং করার সময় তাড়াহুড়ো না করাই ভাল। এবং সবচেয়ে জরুরি হল, ইউপিআই এবং নেটব্যাঙ্কিং করার পর প্রাপ্ত মেসেজটি যেন ডিলিট না করা হয়। ওটা রেখে দিতে হবে।