কিন্তু এ টুকু ছাড়া অন্য বিশেষত্ব রয়েছে এর, যা হয়তো আমাদের অনেকেরই জানা নেই। Google Translator-এর এমন অনেক কৌশল রয়েছে যা বেশ খানিকটা উপকার করতে পারে। দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
ভাষা বোঝার কাজ —
বিদেশে বা অন্য রাজ্যে গিয়ে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলে এক সময় বিপত্তি হত। এখন সেখানে মুশকিল আসান Google Translator। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কী কথা বলবেন, কোন ভাষা ব্যবহার করবেন, তা জানা সম্ভব এই অ্যাপ দিয়েই। এ জন্য Google Translate-এর নিজস্ব পেজে যেতে হবে। সেখানে Conversation ট্যাব দেখা যাবে। এটিতে ক্লিক করে নিজের ভাষা বেছে নিতে হবে। তারপর কথা বলার জন্য মাইক বোতামে আলতো চাপ দিয়ে নিজের কথা বলতে হবে। Google Translate কোনও ব্যক্তির মাতৃভাষাকে তাঁর দ্বারা নির্বাচিক অন্য ভাষায় রূপান্তর করে দেবে।
advertisement
আরও পড়ুন - সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কিনবেন ভাবছেন? এই ব্য়াপারগুলো না দেখলে ঠকতে হবে কিন্তু
বারবার অ্যাপে ঢুকতে হবে না —
কাজের মাঝখানে বার বার ফোনের অ্যাপ খোলা এক সমস্যার বিষয়। এর সমাধানও রয়েছে। এ জন্য Google Translate-এর মেনুতে যেতে হবে। সেখানে ‘ট্যাপ টু ট্রান্সলেট’ অপশনটি চালু করতে হবে। এ বার যে কোনও শব্দ বা লাইন কপি করলে তার পাশে Google ট্রান্সলেটের আইকনটি দেখা যাবে। কেবল এটিতে আলতো চাপ দিয়ে নিজের প্রয়োজনীয় ভাষা বেছে নিতে হবে। এর সাহায্যেই Google Translate এটি সেই ভাষায় অনুবাদ করে দেবে।
সেরা পথ প্রদর্শক —
কোথাও বেড়াতে গিয়ে পোস্টার বা সাইনবোর্ড পড়ে দেখা সমস্যার কারণ হতে পারে। Google Translate-এ গিয়ে ক্যামেরা আইকনে ক্লিক করতে হবে। এ বার নির্দিষ্ট সাইন বোর্ডের দিকে ক্যামেরা তাক করলেই Google অনুবাদ করে দেবে সেই লেখাটি।
আরও পড়ুন - বিল পেমেন্ট করতে আর লাইনে দাঁড়াতে হবে না, ঘরে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে বিল দিন ২ মিনিটে
অফলাইন মোড —
Google Translate অফলাইন মোডেও কাজ করে। তবে এ জন্য প্রয়োজনীয় ভাষাগুলিকে আগে থেকে ডাউনলোড করে রাখতে হবে।
পুরো ওয়েবসাইটের ভাষান্তর —
শুধু একটি বা দু’টি পংক্তি নয়, গোটা ওয়েবসাইটই অনুবাদ করতে পারে Google। এ জন্য translate.google.com-এ যেতে হবে। Google Translate-এ যে ওয়েবসাইটটি অনুবাদ করা প্রয়োজন তার অ্যাড্রেস লিখে দিতে হবে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই একটি নতুন ওয়েব অ্যাড্রেস পাওয়া যাবে যা সম্পূর্ণরূপে রূপান্তরিত হয়ে যাবে কাঙ্ক্ষিত ভাষায়।