সািবার সিকিউরিটি ফার্ম ESET এই দায়িত্ব নিয়েছে। আর বিশদ তথ্য দিয়েছে। তাদের দাবি যে, হ্যাকাররা ইতিমধ্যেই সেই সব মানুষদের উপর নজর রাখতে শুরু করেছে, যাঁদের সিস্টেম সিকিউরিটি সাপোর্টের নিরিখে দুর্বল।
advertisement
ESET সিকিউরিটি এক্সপার্ট বলেন যে, আমরা কঠোর ভাবে সমস্ত ব্যবহারকারীকে এই পরামর্শ দিচ্ছে যে, অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করার দরকার নেই। অবিলম্বে Windows 11-এ আপগ্রেড করতে হবে। অথবা যাঁদের ডিভাইসকে লেটেস্ট Windows অপারেটিং সিস্টেমে আপডেট করা যাবে না, তাঁদের অন্য বিকল্প অপারেটিং সিস্টেম বেছে নিতে হবে।
Microsoft-এর সবথেকে বড় সমস্যা হল, আজকের দিনেও ৬০ শতাংশের বেশি Windows PC চলছে সেই পুরনো Windows 10 ভার্সনে। বহু বছর আগে যখন Windows 7 থেকে Windows 10-এ আসা হয়েছিল, তখন বিষয়টা আলাদা ছিল। সংশ্লিষ্ট সংস্থা কার্যকর ভাবে সম্ভাব্য ফ্রি Windows 11 আপগ্রেডের পথ একেবারে বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ বেশিরভাগ PC-র TPM 2.0-এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আর Windows মার্কেটের বর্তমান অবস্থা থেকে যা দেখা বোঝা যাচ্ছে, সেটা হল – পরবর্তী PC-র জন্য প্রচুর পরিমাণে খরচ করতে হবে গ্রাহকদের।
আরও পড়ুনঃ শীতে সস্তা বলে দেদার খাচ্ছেন পেঁপে? অজান্তেই বড় ভুল হচ্ছে না তো? চিকিৎসকের মত জানুন
তবে বলে রাখা ভাল যে, গ্রাহকদের জন্য Windows-ই একমাত্র বিকল্প নয়। গ্রাহকরা সহজেই Mac-এর কথা ভাবতে পারেন। এমনকী বিকল্প হিসেবে Linux-এর কথাও ভাবতে পারেন তাঁরা। তবে অবশ্য এক্ষেত্রে এই প্ল্যাটফর্মের প্রতি আগ্রহ থাকা প্রয়োজন। নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি সব সময় সব ক্ষেত্রে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তাই ESET শুধুমাত্র গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে আগে থেকেই সতর্কতা জারি করে দিয়েছে। যাতে তাঁরা বড় বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচতে পারেন।
Windows 11 আপগ্রেডের পরিস্থিতি ভারতের মতো দেশে বেশ আলাদাই। যেখানে ইকোসিস্টেম ভেঙে ফেলা হয়েছে। নিজেদের মেশিনে ধরা না পড়ে যায়, এমন অপারেটিং সিস্টেমগুলি রান করার জন্য সস্তা সংস্থানগুলি দেখার অনুমতি দিচ্ছে এটি।