১.৫ টন এসি বাজারে সবথেকে বেশি বিক্রি হয়। কারণ বাড়ির ছোট থেকে মাঝারি ঘর কিংবা হলঘর ভাল ভাবে ঠান্ডা করার জন্য ১.৫ টন এসি সেরা। ধরা যাক, এক জন গ্রাহক ৫-স্টার রেটিং বিশিষ্ট একটি ১.৫ টন স্প্লিট এসি ইনস্টল করেছেন। তাতে ঘণ্টা প্রতি প্রায় ৮৪০ ওয়াট (০.৮kWh) বিদ্যুৎ খরচ করবে। ফলে সেই হিসেবে প্রতিদিন ঘরে ৮ ঘণ্টা এসি ব্যবহার করা হলে দিনে ৬.৪ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হবে। এবার কোনও জায়গায় যদি বিদ্যুৎ বিল প্রতি ইউনিট ৭.৫০ টাকা হিসেবে চার্জ করা হচ্ছে। তাহলে সেক্ষেত্রে এসি-র জন্য দৈনিক বিল আসবে প্রায় ৪৮ টাকা। আর মাসের হিসেবে এই বিলের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াবে ১৫০০ টাকায়।
advertisement
আরও পড়ুন– OMG ! কী কাণ্ড ! ৮৮ লক্ষ টাকা খরচ করে নিজের উচ্চতা ৭ ইঞ্চি বাড়ালেন এই ব্যক্তি
আবার ধরা যাক এক গ্রাহক ৩-স্টার রেটিং বিশিষ্ট একটি ১.৫ টন এসি ইনস্টল করেছেন। সেক্ষেত্রে প্রতি ঘণ্টায় ১১০৪ ওয়াট (১.১০ কিলোওয়াট) বিদ্যুৎ খরচ হবে। ফলে ৮ ঘণ্টা এই এসি চালানো হলে দৈনিক ৯ ইউনিট করে বিদ্যুৎ খরচ হয়। ফলে সেই অনুযায়ী প্রতিদিন বিল উঠবে ৬৭.৫ টাকা। আর মাসিক হিসেবে করলে এই বিলের পরিমাণ হবে ২০০০ টাকা।
এই দুই উদাহরণের থেকে প্রমাণিত যে, ৫-স্টার বিশিষ্ট এসি মাসে ৫০০ টাকা সাশ্রয় করতে সক্ষম। ফলে এখন নিশ্চয়ই বোঝা যাচ্ছে যে, একটা ১.৫ টন এসি দিনে ৮ ঘণ্টা চললে কেমন খরচ হতে পারে! সেই অনুযায়ী নিজের বাজেট অনুযায়ী ৫-স্টার কিংবা ৩-স্টার বিশিষ্ট এসি কেনার পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। আজকাল বেশ কিছু সংস্থা ডুয়াল ইনভার্টার এসি-ও বিক্রি করে। যা কম্প্রেসরের গতি কমায় এবং বিদ্যুৎও সাশ্রয় করে। ফলে বাজেট বেশি থাকলে ডুয়াল ইনভার্টার এসি কেনা যেতে পারে।