এক্সটেরিয়র:
বাইরের ডিজাইন অনুযায়ী Harrier EV-র স্টাইলিংয়ের সঙ্গে ফেসলিফটেড Harrier-এর বেশ মিল রয়েছে। মূলত ২০২৩ সাল থেকে বিক্রি হচ্ছে এটি। তবে Tata তার অন্যান্য EV-র সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে Harrier EV-কে ডিজাইন করেছে। সামনের দিকে, Harrier EV-তে একটি নতুন ক্লোজড গ্রিল রাখা হয়েছে।
পাশের দিকে Harrier EV-তে নতুন ১৯-ইঞ্চি অ্যারো-অপ্টিমাইজড অ্যালয় হুইল এবং সামনের দরজায় ‘EV’ ব্যাজিং রয়েছে। আর পিছনের দিকে Harrier.EV লেটারিং ছাড়া আর কোনও পরিবর্তন নেই। আয়তনের দিক থেকে Harrier EV স্ট্যান্ডার্ড Harrier-এর তুলনায় ২ মিমি লম্বা, ২১০ মিমি চওড়া এবং ২২ মিমি দীর্ঘ বা উঁচু। যদিও এর হুইলবেস ২৭৪১ মিমি অর্থাৎ একই রাখা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- গ্যাস সিলিন্ডারের Expiry Date হয়! চেক করেন না অনেকে, বাড়িতে বিপদ ঘটে
৪টি রঙের বিকল্প:
লঞ্চের সময় Harrier EV চারটি রঙের ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে। আর সেগুলি হল – এম্পাওয়ার্ড অক্সাইড, নৈনিতাল নক্টার্ন, প্রিস্টিন হোয়াইট এবং পিওর গ্রে। এর পাশাপাশি, টাটা Harrier EV-র একটি Stealth Edition-ও বিক্রি করবে Tata। যার ভিতরে এবং বাইরে কালো ডিজাইনের এলিমেন্ট থাকবে – টাটার অন্যান্য ডার্ক এডিশন মডেলের সঙ্গে এর সামঞ্জস্য থাকবে।
ইন্টেরিয়র:
বাইরের মতো Harrier EV-র কেবিনটিও এর ICE-powered মডেলের থেকে খুব বেশি আলাদা নয়। তবে ডুয়াল-টোন ড্যাশবোর্ডের উপরে থাকা ১৪.৫৩-ইঞ্চি ইনফোটেনমেন্ট স্ক্রিনটিতে থাকবে বিশ্বের প্রথম Samsung Neo QLED ডিসপ্লে, যা আরও ভাল মানের ছবি প্রদর্শন করবে। স্ক্রিনের ডান দিকে একটি ডিজিটাল ড্রাইভার ডিসপ্লে রয়েছে এবং এর ঠিক সামনে একটি ফোর-স্পোক স্টিয়ারিং হুইল থাকবে। যার উপর একটি ইলিউমিনেটেড টাটা লোগো আছে। এর বুট স্পেস ৫০২ লিটার।
৫৪০-ডিগ্রি সারাউন্ড ক্যামেরা ভিউ:
একটি টাচ-ভিত্তিক HVAC কন্ট্রোল প্যানেল রয়েছে এবং সেন্টার কনসোলে আরও এগিয়ে গেলে একটি রোটারি ড্রাইভ মোড সিলেক্টর ও ইলেকট্রনিক পার্কিং ব্রেক চোখে পড়বে। Harrier EV-র অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে অন্যতম হল – একটি প্যানোরামিক সানরুফ, অ্যাম্বিয়েন্ট লাইটিং, ভেন্টিলেটেড এবং পাওয়ার্ড ফ্রন্ট সিট, Dolby Atmos 5.1-সহ ১০-স্পিকার JBL সাউন্ড সিস্টেম, ভেহিকেল-টু-লোড (V2L) এবং ভেহিকেল-টু-ভেহিকেল (V2V) ফাংশনালিটি, ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেমের জন্য ওভার-দ্য-এয়ার (OTA) আপডেট, কানেক্টেড কার টেক, চারটি ড্রাইভ মোড, অল-ডিজিটাল ইনসাইড রিয়ারভিউ মিরর, অটো পার্ক অ্যাসিস্ট, সিক্স টেরেন মোড এবং আরও নানা কিছু। Harrier EV-তে একটি ৫৪০-ডিগ্রি সারাউন্ড ক্যামেরা ভিউও রয়েছে। কোনও চাকা যদি কার্বের খুব কাছাকাছি চলে আসে, তাহলে সেক্ষেত্রে গাড়ির চালককে সতর্ক করে দিতে পারবে এই ক্যামেরাটি।
৬২৭ কিমি পর্যন্ত রেঞ্জ:
রেঞ্জের কথা বলতে গেলে MIDC অনুযায়ী, Harrier EV-র RWD 75kWh ভ্যারিয়েন্টটিও একবার চার্জ দিলেই ৬২৭ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে। Tata-র ইন্টারনাল টেস্ট সাইকেল, যাকে C75 বলা হয়। তার অধীনে একই Harrier EV মডেলটি ৪৮০-৫০৫ কিলোমিটার পর্যন্ত রিয়েল-ওয়ার্ল্ড রেঞ্জ প্রদান করে। যা এই ক্ষেত্রে গাড়ি নির্মাতার অন্যান্য EV-গুলিকে সহজেই ছাপিয়ে যাবে। আর চার্জিংয়ের কথা বলতে গেলে একটি 7.2kW AC চার্জার Harrier EV-কে ১০.৭ ঘণ্টার মধ্যে ১০-১০০ শতাংশ রিচার্জ করতে পারে। যেখানে একটি 120kW DC ফাস্ট চার্জার SUV-র ব্যাটারি ২৫ মিনিটের মধ্যে ২০-৮০ শতাংশ চার্জ করে দেবে।
দাম শুরু ২১.৪৯ লক্ষ টাকা থেকে:
Harrier EV-র বেস রিয়ার-হুইল ড্রাইভ ঘণ্টা প্রতি ৬৫ কিলোওয়াট ভ্যারিয়েন্টটির দাম শুরু হচ্ছে ২১.৪৯ লক্ষ টাকা থেকে। বাকি মডেল পোর্টফোলিওর দাম এখনও প্রকাশ্যে আনা হয়নি। এই দামে Harrier EV সরাসরি Mahindra-র লেটেস্ট ইভি ডুও – XEV 9e এবং BE 6 – এর পাশাপাশি Hyundai Creta Electric এবং আসন্ন Maruti Suzuki e Vitara – র সঙ্গে জোর টক্কর দিতে পারবে।