বেশ কিছু গাড়ির উপর জিএসটি হার ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৮ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে সেই গাড়িগুলি উল্লেখযোগ্য ভাবে আরও সস্তা হয়ে উঠবে। এই জিএসটি কাটের অর্থ হল – ছোট গাড়ি এবং বাইকগুলির উপর বড়সড় সাশ্রয় করতে পারবেন মধ্যবিত্তরা। এর ফলে ভারতের সর্ববৃহৎ গাড়ি নির্মাতা সংস্থা Maruti Suzuki-র ব্যবসাও বাড়বে। শুধু তা-ই নয়, ব্যবসা বাড়বে এর প্রতিদ্বন্দ্বী Hyundai এবং Tata Motors-এরও।
advertisement
অর্থ মন্ত্রকের রাজস্ব বিভাগের সচিব অরবিন্দ শ্রীবাস্তব ঘোষণা করেছেন যে, Electric Vehicles (EV)-র উপর জিএসটি ধার্য হবে ৫ শতাংশ। যদিও SUV এবং বিলাসবহুল EV-তে জিএসটি হবে অনেকটাই বেশি, প্রায় ৪০ শতাংশ। যা ২৮ শতাংশ থেকে বাড়ানো হয়েছে। এটি বাছাই করা কিছু পণ্যের জন্য উচ্চতর স্ল্যাব।
আরও পড়ুন- AC কিনে ফেলেছেন? আরেকটু অপেক্ষা করলে….একটা এসির দাম এখন কত টাকা কমল জানেন?
এমনিতে অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি বারবার সরকারকে নতুন জিএসটি রেট দ্রুত কার্যকর করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল। আসলে সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয়ার্ধ্বে উৎসবের মরশুম শুরু হওয়ার আগেই এগুলি কার্যকর করার দাবি জানানো হয়েছিল। ভারতীয় আমদানির উপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছেন। যার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কে টানাপোড়েনের মধ্যে এই বড় সংস্কারটি এসেছে, যেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারবার ভারতীয় পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন।
কোন কোন গাড়ি সস্তা হবে? (২৮ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশ)-
১. রাবারের তৈরি নতুন নিউম্যাটিক টায়ার (বাইসাইকেল, সাইকেল-রিকশা এবং তিন চাকার সাইকেল রিকশায় ব্যবহৃত অন্যান্য ধরনের গাড়ি; ট্র্যাক্টরের পিছনের দিকের টায়ার; এবং বিমানে ব্যবহৃত টায়ার)
২. 1800 cc-র বেশি ইঞ্জিন ক্যাপাসিটির সেমি-ট্রেলারের জন্য রোড ট্রাক্টর
৩. চালক-সহ দশ অথবা তার বেশি সংখ্যক যাত্রী বহনকারী মোটর গাড়ি। ((গণপরিবহনে ব্যবহারের জন্য বাস ব্যতীত, যা কেবলমাত্র জৈব জ্বালানি দ্বারা চালিত হয়)
৪. পেট্রোল, লিক্যুইফায়েড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) অথবা কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (সিএনজি) চালিত মোটর গাড়ি, যার ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি 1200cc-র বেশি নয় এবং দৈর্ঘ্য ৪০০০ মিমি-র বেশি নয়।
৫. 1500cc-র বেশি ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি এবং ৪০০০ মিমি-র বেশি দৈর্ঘ্যের ডিজেল-চালিত মোটর গাড়ি।
৬. অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ছাড়পত্রপ্রাপ্ত মোটর গাড়িগুলিকে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সরঞ্জাম, আসবাবপত্র এবং আনুষঙ্গিক সামগ্রী যথাযথ ভাবে সজ্জিত করে রাখতে হবে।
৭. তিন চাকার গাড়ি।
৮. স্পার্ক-ইগনিশন ইন্টার্নাল কমবাসশন ও পিস্টন ইঞ্জিন এবং প্রোপালশনের জন্য মোটর হিসাবে ইলেকট্রিক মোটর-সহ মোটর গাড়ি। যার ইঞ্জিন ক্ষমতা 1200cc-র বেশি নয় এবং দৈর্ঘ্য ৪০০০ মিমি-র বেশি নয়।
৯. কম্প্রেশন-ইগনিশন ইন্টার্নাল কমবাসশন পিস্টন ইঞ্জিন [ডিজেল অথবা সেমি-ডিজেল] এবংপ্রোপালশনের জন্য মোটর হিসাবে ইলেকট্রিক মোটর-সহ মোটর গাড়ি। যার ইঞ্জিন ক্ষমতা 1500cc-র বেশি নয় এবং দৈর্ঘ্য ৪০০০ মিমি-র বেশি নয়।
১০. পণ্য পরিবহণের জন্য মোটর গাড়ি (রেফ্রিজারেটেড মোটর গাড়ি ব্যতীত)।
১১. ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি বিশিষ্ট মোটরসাইকেল (মোপেড-সহ) এবং সাইকেল। (সাইড কার-সহ বা সাইড-কার ব্যতীত, 350cc-র বেশি ইঞ্জিন ক্ষমতা সম্পন্ন মোটরসাইকেল এবং সাইড কার)।
১২. এর পাশাপাশি চ্যাসিস, হুইল রিম, বডি এবং ট্রান্সমিশন-সহ কিছু যন্ত্রাংশ এবং আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রের জিএসটি হার কমানো হয়েছে।
কোন কোন গাড়ির দাম বাড়বে? (২৮ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ)
১. মোটর গাড়ি এবং অন্যান্য মোটর গাড়ি। যা মূলত ব্যক্তি পরিবহণের জন্য তৈরি, যার মধ্যে স্টেশন ওয়াগন এবং রেসিং গাড়িও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। (২৮ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশের কলামে উল্লিখিত গাড়ি ছাড়া)।
২. স্পার্ক-ইগনিশন ইন্টার্নাল কমবাসশন ও পিস্টন ইঞ্জিন এবং প্রোপালশনের জন্য মোটর হিসাবে ইলেকট্রিক মোটর-সহ মোটর গাড়ি। যার ইঞ্জিন ক্ষমতা 1200cc-র বেশি এবং দৈর্ঘ্য ৪০০০ মিমি-র বেশি।
৩. কম্প্রেশন-ইগনিশন ইন্টার্নাল কমবাসশন পিস্টন ইঞ্জিন [ডিজেল অথবা সেমি-ডিজেল] এবংপ্রোপালশনের জন্য মোটর হিসাবে ইলেকট্রিক মোটর-সহ মোটর গাড়ি। যার ইঞ্জিন ক্ষমতা 1500cc-র বেশি এবং দৈর্ঘ্য ৪০০০ মিমি-র বেশি।
৪. 350cc-র বেশি ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি বিশিষ্ট মোটর সাইকেল।
৫. ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য থাকা এয়ারক্র্যাফ্ট।
৬. বিনোদন অথবা ক্রীড়ার জন্য ব্যবহৃত ইয়ট এবং অন্যান্য ভেসেল।