ডুপ্লিকেট হেলমেট এত বিপজ্জনক কেন –
দুর্বল উপাদান: ডুপ্লিকেট হেলমেটগুলি আসল হেলমেটের চেয়ে দুর্বল উপাদান দিয়ে তৈরি। তাই দুর্ঘটনার সময় এগুলি ভেঙে যায় এবং মাথাকে পর্যাপ্ত সুরক্ষা দেয় না।
আরও পড়ুন- ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি উত্তরবঙ্গে ! বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গে
ভুল আকার: এই হেলমেটগুলি সঠিক আকারের নয়। যার কারণে এগুলি মাথায় ঠিকভাবে ফিট হয় না এবং দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দুর্বল হয়ে পড়ে।
advertisement
নন-স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি: এই হেলমেটগুলিতে নিরাপত্তার মান অনুসরণ করা হয় না। যার কারণে এটি মাথায় গুরুতর আঘাতের কারণ হতে পারে।
সরকারি পদক্ষেপে কী লাভ –
সড়ক নিরাপত্তার উন্নতি: ডুপ্লিকেট হেলমেট বিক্রি নিষিদ্ধ করলে সড়ক নিরাপত্তা উন্নত হবে এবং সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা কমবে।
প্রকৃত পণ্যের প্রচার: সরকারের এই পদক্ষেপ প্রকৃত ও মানসম্পন্ন হেলমেট উৎপাদন ও বিক্রয়কে উৎসাহিত করবে।
ভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষিত: এর মাধ্যমে ভোক্তারা মানসম্পন্ন পণ্য পাবে এবং প্রতারণা এড়াতে পারবে।
ভোক্তাদের কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত –
একজন অনুমোদিত ডিলারের কাছ থেকে ক্রয়: সর্বদা একজন অনুমোদিত ডিলারের কাছ থেকে একটি হেলমেট ক্রয় করা উচিত।
হেলমেটের গুণমান পরীক্ষা: হেলমেট কেনার আগে এর গুণমান এবং নিরাপত্তার মান সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য জেনে নিতে হবে।
বিল নিতে হবে: হেলমেট কেনার সময়, বিল নিতে ভোলা উচিত নয়। যাতে ভবিষ্যতে কোনও সমস্যা হলে এটি ব্যবহার করা যায়।
টু-হুইলার হেলমেট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজীব কাপুর বলেছেন, সরকারকে টু-হুইলার মোটর যানবাহন (গুণমান নিয়ন্ত্রণ) আদেশ, ২০২০-এর মাধ্যমে, আরোহীদের জন্য হেলমেটের বিধানগুলি কঠোরভাবে প্রয়োগ করা উচিত, যা ২০২১ সালের জুনে কার্যকর হয়েছিল।
জনপ্রিয় হেলমেট কোম্পানি স্টিলবার্ডের ডিরেক্টর এবং টু-হুইলার হেলমেট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজীব কাপুর জানিয়েছেন যে,“বিআইএস চিহ্ন ছাড়া পণ্য উৎপাদন, বিক্রয় এবং সংরক্ষণ নিষিদ্ধ এবং এটি একটি অপরাধ। এই আদেশের যে কোনও লঙ্ঘন বিআইএস আইন, ২০১৬-এর প্রযোজ্য আইনি বিধান অনুসারে কঠোরভাবে শাস্তি যোগ্য।”
