ডিভাইসের মূল্য:
ফোনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হল- পরিস্থিতি এবং বাজেট। তবে বাজেটের উপর নির্ভর করতে হলে প্রত্যাশাগুলিও খানিক বদলাতে হবে। যেমন - ১৫,০০০ টাকা থেকে ২০,০০০ টাকার বাজেট থাকলে ক্যামেরা এবং পারফরমেন্সের ক্ষেত্রে আপোস করতে হতে পারে। আবার ২০,০০০ টাকার বেশি বাজেট হলে আরও ভালো পারফরমেন্স, ভালো ক্যামেরা এবং ব্যাটারি লাইফ পাওয়া সম্ভব। আর ৩০,০০০ থেকে ৪০,০০০ টাকা বাজেট হলে নাথিং ফোন (1), Google Pixel 6a, OnePlus, Samsung Galaxy A সিরিজের মতো ফোন মিলতে পারে।
advertisement
নতুন অথবা পুরনো ভ্যারিয়েন্ট:
প্রতিটি সিরিজের জন্যই কিন্তু বাজারে বেশ কয়েকটি পুরনো ভ্যারিয়েন্টের ফোন রয়েছে। যেগুলি কম দামে ভালো পারফরমেন্স এবং স্পেসিফিকেশন-এর সুবিধা দেয়। বিশেষ করে Redmi এবং Realme সিরিজের পুরনো ভ্যারিয়েন্টগুলি আকর্ষণীয় ছাড়ে পাওয়া যাচ্ছে। তবে এর একটি খারাপ দিকও রয়েছে, এতে সফ্টওয়্যার আপডেটের সমস্যা হতে পারে। কারণ এগুলি সীমিত সময়সীমার মধ্যে আপডেট করতে হবে। এ-ছাড়াও এমন অনেক ফোন রয়েছে, যেগুলি নতুন 5G-র জন্য প্রস্তুত নয়। এ-ছাড়াও কিছু পুরনো 5G-রেডি ফোনে সীমিত ব্যান্ড কভারেজ থাকে, এতেও সমস্যা হতে পারে।
5G সাপোর্টিং ফোন:
আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল- 5G সাপোর্ট। Airtel অগাস্টের শেষেই 5G রোল-আউটের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। Jio, Airtel, Vi-এর মতো টেলিকম কোম্পানিগুলিও খুব শীঘ্রই 5G সাপোর্টিং নেটওয়ার্ক আনতে চলেছে।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখা ভালো যে, 5G হল পরবর্তী প্রজন্মের মোবাইল এলটিই নেটওয়ার্ক। যা অনেক দ্রুত ডাউনলোড, কম লেটেন্সি নেটওয়ার্কে কাজ করতে সক্ষম। Nothing Phone (1), Realme GT2 Pro, Galaxy S22 সিরিজ, OnePlus 10T, Redmi K50i, Redmi Note 11T Pro, Realme 9 Pro 5G ইত্যাদিতে 5G নেটওয়ার্কের সুবিধা পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: গ্রাহকদের জন্য বড় খবর ! প্রিপেড প্ল্যানে অবিশ্বাস্য অফার দিচ্ছে Reliance Jio
ডিসকাউন্ট এবং টাইমিং:
ডিসকাউন্ট সিজন শীঘ্রই আসতে চলেছে। যে কোনও ই-কমার্স ওয়েবসাইটে গিয়ে ব্যাঙ্কিং পেমেন্ট বা অনলাইন ট্রান্সঅ্যাকশন বা এক্সচেঞ্জ ছাড়া যে অফারগুলি রয়েছে, সেগুলি গ্রহণ করলে বেশ ভালো ডিসকাউন্ট পাওয়া যেতে পারে। 'এক্সচেঞ্জ বোনাস'-এ পুরনো ডিভাইসের বদলে কম মূল্যে নতুন ফোন পাওয়া যেতে পারে।
স্পেসিফিকেশন:
নতুন ফোনের ক্ষেত্রে স্পেসিফিকেশন ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ১৫,০০০ - ২০,০০০ টাকা অথবা ২০,০০০ - ৩০,০০০ টাকার ফোনে কী কী ভালো স্পেসিফিকেশন রয়েছে, তা বিবেচনা করা উচিত। স্পেসিফিকেশনের অর্থ হল RAM-এর সাইজ, স্টোরেজ, দ্রুত চার্জিং সাপোর্টার, ব্যাটারি ব্যাক-আপ ইত্যাদি। ক্যামেরার ক্ষেত্রেও মেগাপিক্সেল, বিভিন্ন সফ্টওয়্যার দেখে নেওয়া প্রয়োজন।