এক্ষেত্রে সবার প্রথমে যা না জানলেই নয়, সেটা হল যে POLED (প্লাস্টিক OLED) এবং AMOLED (অ্যাকটিভ ম্যাট্রিক্স OLED) উভয়েই OLED (অর্গানিক লাইট এমিটিং ডায়োড) ডিসপ্লে।
এবার আসা যাক OLED ডিসপ্লে সম্পর্কে। OLED হল এক ধরনের ডিসপ্লে প্রযুক্তি যা বৈদ্যুতিক প্রবাহ প্রয়োগের পরে আলো তৈরি করতে জৈব যৌগ ব্যবহার করে। একটি OLED ডিসপ্লের প্রতিটি পিক্সেল তার নিজস্ব আলো নির্গত করে। এটি প্রথাগত এলসিডি ডিসপ্লের তুলনায় ভাল কনট্রাস্ট এবং এনার্জি এফিসিয়েন্সি প্রদান করে। এগুলি কার্ভড বা ফোল্ডেবল ডিভাইসগুলির জন্য আদর্শ বলে মনে করা হয়।
advertisement
অন্য দিকে, AMOLED হল একটি নির্দিষ্ট ধরনের OLED প্রযুক্তি যা প্রতিটি পৃথক পিক্সেলের উপর আরও সুনির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি সক্রিয় ম্যাট্রিক্সকে অন্তর্ভুক্ত করে। এটি স্ট্যান্ডার্ড OLED ডিসপ্লেগুলির তুলনায় আরও ভাল রিফ্রেশ রেট, ভাল কালার রিপ্রোডাকশন দেয় এবং কম পাওয়ার খরচ করে। AMOLED ডিসপ্লে সাধারণত স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং অন্যান্য পোর্টেবল ডিভাইসে ব্যবহৃত হয়। কারণ, তাদের ব্যাটারি বাঁচানোর ক্ষমতা বেশি, পাশাপাশি একই সময়ে প্রাণবন্ত অন্য রঙ এবং গভীর কালো রঙ দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। ফোন ডিসপ্লের জন্য OLED-কে অবশ্য AMOLED-এর থেকে ভাল বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: ত্বক হবে কাঁচের মতো! চুল বাড়বে হু-হু করে! বদলে ফেলুন স্নানের সময়!
সব শেষে পড়ে থাকে pOLED। pOLED হল OLED প্রযুক্তির একটি ভেরিয়েশন যা কাচের পরিবর্তে প্লাস্টিকের সাবস্ট্রেট ব্যবহার করে ডিসপ্লেগুলিকে পাতলা, হালকা এবং আরও টেকসই করে। এর মাধ্যমে মূলত কার্ভড বা রোলেবল ডিসপ্লে তৈরি করা হয়। POLED সাধারণত পরিধানযোগ্য ডিসপ্লেতে পাওয়া যায়, যেমন- স্মার্টওয়াচ, যেখানে ডিসপ্লের নমনীয়তা এবং স্থায়িত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক ব্যাপার। AMOLED প্যানেলগুলি তুলনায় প্লাস্টিকের প্যানেল অর্থাৎ pOLED-এর চেয়ে পরিষ্কার হয়। তবে, কাচের প্যানেলের তুলনায় প্লাস্টিকের প্যানেলের স্থায়িত্ব বেশি। এগুলি পাতলা এবং সস্তাও। যদিও, এগুলোতেও সহজেই আঁচড় পড়তে দেখা যায়।