লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বুন্দি সঞ্জয় কুমার জানিয়েছেন যে, সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শুধু প্রতারণামূলক সিম বন্ধ করাই নয়, ২০৮,৪৬৯ আইএমইআই নম্বর নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। এর ফলে চুরি বা অবৈধভাবে সংগৃহীত মোবাইল ডিভাইসের অপব্যবহার রোধ করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: Jio গ্রাহকদের জন্য বিরাট সুখবর! একেবারে ফ্রি এবার একটি পরিষেবা, এক টাকাও লাগবে না
advertisement
সরকার এখন ভয়েস ও ভিডিও কলিং অ্যাপগুলোর অপব্যবহার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। ভারতের সাইবার ক্রাইম কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (I4C) ইতিমধ্যেই ৩,৯৬২ স্কাইপ আইডি, ৭.৮১ লাখ সিম কার্ড ব্লক করেছে। এটি স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ডিজিটাল যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আসতে চলেছে।
সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে I4C-এর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা – ২০১১ সালে চালু হওয়া I4C ইতিমধ্যে ১৩.৩৬ লাখ প্রতারণার অভিযোগ থেকে ৪,৩৮৯ কোটি টাকা সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করেছে। ভবিষ্যতে এআই-চালিত নজরদারি ব্যবস্থা চালু করা হবে, যা সাইবার অপরাধ দ্রুত শনাক্ত ও প্রতিরোধে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: বাজাজ চেতক এবার আরও সস্তা! স্কুটি কেনার প্ল্যান করছেন? দেখে নিন দাম
কী কী নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হবে? – আগামী দিনে সরকার আরও শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ভিত্তিক নজরদারি ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে। সম্ভাব্য নতুন উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে: স্বয়ংক্রিয় প্রতারণা সনাক্তকরণ ব্যবস্থা (টেলিকম ও ব্যাংকিং ক্ষেত্রে), সিম কার্ড ইস্যুর ক্ষেত্রে কঠোর KYC নীতি, নাগরিকদের জন্য সাইবার সুরক্ষা উদ্যোগ।
সাধারণ মানুষ যাতে সহজেই সাইবার প্রতারণার অভিযোগ জানাতে এবং প্রতারণার শিকার হলে সাহায্য পেতে পারে, সেজন্য সরকার নিচ্ছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ: জাতীয় সাইবার হেল্পলাইন (১৯৩০) – প্রতারণা হলে তৎক্ষণাৎ রিপোর্ট করার জন্য, সঞ্চার সাথী পোর্টাল ও অ্যাপ – চুরি যাওয়া মোবাইল ব্লক করা ও ভুয়া কল রিপোর্ট করার জন্য।
এই পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে ভারত একটি আরও সুরক্ষিত ডিজিটাল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যেখানে নাগরিকদের সাইবার প্রতারণা থেকে আরও ভালোভাবে রক্ষা করা সম্ভব হবে।