গতকালের এই সংস্থার তরফে অফিসিয়াল ট্যুইটার (Twitter) হ্যান্ডেলে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, চ্যাট ওয়ালপেপার, অ্যানিমেটেড স্টিকার-সহ একাধিক নতুন ফিচার আনতে চলেছে তারা। সঙ্গে আনা হচ্ছে সিগন্যাল প্রোফাইলও। iOS ব্যবহারকারীদের জন্য মিডিয়া অটো ডাউনলোড সেটিং ও স্ক্রিন জুড়ে প্রোফাইল পিকচার দেখার সুবিধাও করা হচ্ছে। এই ফিচারগুলি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য ইতিমধ্যেই রয়েছে।
advertisement
https://twitter.com/signalapp/status/1348785240819466242
হোয়াটসঅ্যাপের তরফে কিছুদিন আগেই জানানো হয়েছে ব্যবহারকারীর তথ্য তাদের অধীনস্থ যে কোনও সংস্থা এমনকি ফেসবুক (Facebook)-এও শেয়ার হতে পারে। এর পাশাপাশি সব সময়ে ব্যবহারকারীর লোকেশন ডেটাও ট্র্যাক করতে পারবে অ্যাপটি। তার পর থেকেই এই অ্যাপ ছেড়ে টেলিগ্রাম (Telegram) ও সিগন্যালের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছে মানুষজন। Tesla-র কর্ণধার এলন মাস্কও (Elon Mask) মানুষজনকে হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে সিগন্যাল ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।
এদিকে, হঠাৎ করে এত মানুষ এই অ্যাপ ব্যবহার শুরু করায় স্বাভাবিক ভাবেই এক দিকে যেমন লাভের মুখ দেখছে সংস্থা, তেমনই অন্য দিকে চাপেও তারা। কারণ অ্যাপটিতে ব্যবহারকারীদের চাহিদা মতো প্রচুর আপডেট আনা প্রয়োজন।
হোয়াটসঅ্যাপের মতোই অধিকাংশ ফিচার রয়েছে সিগন্যালে। তবে এখানে চ্যাট ব্যাক-আপের অপশন নেই। এক্ষেত্রে উপযুক্ত সম্মতি ছাড়া অন্য কাউকে সহজে গ্রুপে অ্যাড করা যায় না। পাশাপাশি ভিডিও কলেও মানুষজনকে অ্যাড করার লিমিট ছিল। এই লিমিট সম্প্রতি পাঁচ থেকে আট জন করেছে সংস্থা।
https://twitter.com/signalapp/status/1348728450895384578
হোয়াটসঅ্যাপের মতো সিগন্যালও বিনামূল্যেই ব্যবহার করতে পারবেন যে কেউ। তবে, সিগন্যাল বা টেলিগ্রামে ব্যবহারকারীর কোনও তথ্য অন্য কোথাও শেয়ার করা হবে না। এমনকি সম্প্রতি iOS 14-এ অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে যে প্রাইভেসি পলিসি জানানোর বিষয়টি রয়েছে, তাতেও দেখা গিয়েছে, এই দুই অ্যাপ ব্যবহারকারীর কোনও তথ্য শেয়ার করে না।